চট্টগ্রামকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিলো সিলেট
নিজেরা বাদ পড়েছে সবার আগে। এবার যেনো সঙ্গে করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকেও নিয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছে সিলেট সানরাইজার্স। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৮৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সবার আগে বাদ পড়া দলটি।
যার ফলে এখন ১৮৬ রান করে এই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পাবে চট্টগ্রাম। আর হেরে গেলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে রাতের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে খুলনা টাইগার্সের বড় পরাজয়ের। এছাড়া চট্টগ্রাম হারলে প্লে অফে চলে যাবে মিনিস্টার ঢাকা।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই ছিল সিলেটের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪১ রান যোগ করেন কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়।
মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ১৯ বলে ২৪ রান করা ইনগ্রাম। পরের ওভারে আউট হন মিজানুর রহমান। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তিন শিকারের প্রথমটিতে পরিণত হওয়ার আগে ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি মিজানুর।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬.২ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন এনামুল বিজয় ও লেন্ডল সিমন্স। কিন্তু দুজনের কেউই ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁতে পারেননি। মৃত্যুঞ্জয়ের করা ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে এনামুল ২৫ বলে ২৯ ও সিমন্স ২৮ বলে খেলেন ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ইনিংসের বাকি পথটা সামাল দেন সাবেক অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও বর্তমান অধিনায়ক রবি বোপারা। এ দুজন মিলে মাত্র ৬.৫ ওভারে যোগ করেন ৮০ রান। সৈকত-বোপারার ঝড়ে শেষের ৪ ওভার থেকেই ৬১ রান তুলে নেয় সিলেট।
একদম শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ২১ বলে ৪৪ রান করেন বোপারা। অন্যদিকে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২২ বলে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক সৈকত।
চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের শিকার ১টি করে উইকেট।
এসএএস/এমএস