মিরাজদের হারাতে মুশফিকদের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য
আসরের উদ্বোধনী দিন মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করে জিতেছিল খুলনা টাইগার্স। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় চ্যালেঞ্জের সামনে মুশফিকুর রহিমের দল। তাদের বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মেহেদি হাসান মিরাজের দলকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে এই পাহাড় ডিঙোতে হবে মুশফিকের খুলনাকে। চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলেননি কেউই। তবে কেনার লুইস, মেহেদি মিরাজ, সাব্বির রহমান, বেনি হাওয়েলদের সম্মিলিত অবদানে মিলেছে বড় সংগ্রহ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে চলতি আসরে টানা ষষ্ঠবারের মতো আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টস জেতা অধিনায়ক। মুশফিকুর রহিমের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে তাণ্ডব চালায় চট্টগ্রাম। সোহরাওয়ার্দী শুভর করা সেই ওভার থেকে তুলে নেয় ২৩ রান।
তবে পরের ওভারেই ৭ বলে ১৭ রান করা উইল জ্যাকসকে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। অন্য প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে নেন আরেক ওপেনার কেনার লুইস। মাত্র ৩.৩ ওভারেই পূরণ হয়ে যায় চট্টগ্রামের দলীয় পঞ্চাশ। ঠিক পরের বলেই রাব্বির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ১৪ বলে ২৫ রান করা কেনার।
এরপর দূর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৫ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬.২ ওভারে ৪৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ ও সাব্বির রহমান। চট্টগ্রামের দলীয় শতরান পূরণ হয় ১২.৩ ওভারে।
নবীন উল হকের করা ইনিংসের ১৪তম ওভারে পরপর তিন চার মেরে আরও একটি বাউন্ডারির আশায় স্কুপ করেছিলেন মিরাজ। কিন্তু বল উঠে যায় আকাশে, ধরা পড়ে যান থিসারা পেরেরার হাতে। আউট হওয়ার আগে চট্টগ্রাম অধিনায়ক চারটি চারের মারে ২৩ বলে করেন ৩০ রান।
আগের দিনের মতো আজও বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়ে এর অপমৃত্যু ঘটান সাব্বির। তার ব্যাট থেকে আসে ১ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৩২ রান। সাব্বিরের বিদায়ের পর ১৬ ওভারে চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। সেখান থেকে শেষ ৪ ওভারে ৫৭ রান যোগ করে তারা।
এর মূল কারিগর আগের দুই ম্যাচে ঝড় তোলা বেনি হাওয়েল ও নাইম ইসলাম। বেনি ২০ বলে ৩৪ ও নাইম ইসলাম ৫ বলে করেন ১৫ রান। মাঝে ৬ বলে ৯ রান করে আউট হন শামীম পাটোয়ারী। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ২১, ১৯তম ওভারে ১৩ ও শেষ ওভারে ১৯ রান নেয় চট্টগ্রাম।
খুলনার পক্ষে ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। নবীন উল হক ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। ফরহাদ রেজা ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট।
এসএএস/এএসএম