জীবনের চেয়ে খেলা কখনো গুরুত্বপূর্ণ নয়: মোসাদ্দেক
পঞ্চপান্ডবের তিনজন মাশরাফি, তামিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঢাকায়। সাকিবের দল ফরচুন বরিশাল। খুলনা টাইগার্সে আছেন মুশফিকুর রহিম।
কাজেই দেশের পাঁচ শীর্ষ তারকা নেই সিলেট সানরাইজার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। কুমিল্লায় তবু লিটন দাস আর মোস্তাফিজুর রহমানের মত নামি ও সু-প্রতিষ্ঠিত পারফরমার আছেন। সে তুলনায় সিলেট ও চট্টগ্রামে শীর্ষ তারকাদের কেউ নেই।
সিলেটে নামী ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমার বলতে তাসকিন, মোসাদ্দেক সৈকত এবং মোহাম্মদ মিঠুনরা। সঙ্গে আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, এনামুল হক বিজয়, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি, মুক্তার আলি, মিজানুর রহমান, নাদিফ চৌধুরী, জুবায়ের হোসেন লিখনের মত একঝাঁক তরুণ।
এমন দল নিয়ে কতদুর যাবে সিলেট সানরাইজার্স? তবে অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত এই দল নিয়েই ভাল করতে আশাবাদী। তার আশাবাদী উচ্চারণ, ‘আমাদের দলে হয়তো সুপার স্টার নাই; কিন্তু যারা আছে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মার। সবাই নিজের দিনে যদি নিজেদের দিনে ভালো খেলতে পারে তাহলে অবশ্যই ভালো একটা ফল আশা করা যায়।’
অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে। তাই সাদা বলে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছেন কম। মাঝে বিসিএল খেলেছেন লাল বলে। লাল বল এবং চারদিনের ম্যাচ থেকে আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফেরা ও সাদা বলে খেলা- খাপ খাওয়ানো কী কঠিন?
মোসাদ্দেক মানছেন, হ্যাঁ একটা ফরম্যাট থেকে আরেকটা ফরম্যাটে ডেলিভারি করাটা একটু কঠিন। তবে তার দাবি, ‘আমরা অনুশীলন সেভাবেই করছি। কারণ যেহেতু আমরা শেষ টুর্নামেন্টটা ওয়ানডে ফরম্যাটে সাদা বলে খেলেছি, তাই আমার মনে হয় না খুব বেশি সময় লাগবে মানিয়ে নিতে।’
করোনার মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলতে হবে। এটাকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাওয়া হলে মোসাদ্দেক সৈকতের জবাব, ‘এটাতো বিসিবির সিদ্ধান্ত, আমার কিছু না। তবে আমি একটা জিনিস বলতে পারি জীবনের চেয়ে খেলা কখনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। জীবন থাকলে আপনি অবশ্যই খেলতে পারবেন। এ বিষয়গুলো ম্যানেজমেন্ট খুব ভালোভাবে দেখতেছে আমি মনে করি। বিসিবি খুব ভালভাবে টেক কেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ।’
এআরবি/আইএইচএস