ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সংক্ষিপ্ততম তিন ইনিংস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২১

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ ২০ ওভারের ক্রিকেট শুরু হয় ২০০৫ সালে। যার নামকরণ করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডের সাড়ে তিন ঘণ্টার বদলে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংস শেষ হতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এলেই যেন ব্যাটারদের ড্রেসিংরুমে ফেরার বড্ড তাড়া থাকে।

দেড় ঘণ্টার ইনিংসের অর্ধেক পেরোতে না পেরোতেই অস্থিরতায় ভোগে পুরো দল। অলআউট হয়ে যায় দ্রুত! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম তিন ইনিংসের দুটিই ঘটেছে আবার চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে!

চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই তিন ইনিংস

২২ অক্টোবর, ২০২১; ভেন্যু: শারজাহ
নেদারল্যান্ডস (৪৪ অলআউট, ১০ ওভার) বনাম শ্রীলঙ্কা

নেদারল্যান্ডস ব্যাটারদের অস্থিরতা যেন একটু বেশিই। না হলে অর্ধেক ওভারেই পুরো দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়!

শারজায় এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই হাঁটু কাঁপাকাঁপি হতে থাকে ডাচ ব্যাটারদের। দুই লঙ্কান স্পিনারের ঘূর্ণিজাদু (ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা: ৩-০-৯-৩, মাহিশ থিকসানা: ১-০-৩-২) ও লাহিরু কুমারার এক ওভারে 'ট্রিপল ধামাকা'য় (৩-১-৭-৩) ৬০ বলেই থেমে যায় ডাচদের ইনিংস।

২৫ অক্টোবর, ২০২১; ভেন্যু: শারজাহ
স্কটল্যান্ড (৬০ অলআউট, ১০.২ ওভার) বনাম আফগানিস্তান

শারজার উইকেটে ব্যাটাররা যেন 'বলির পাঠা' বনে যান! সেটা আগে ব্যাটিংই হোক বা পরে- ব্যাটারদের মধ্যে যেন এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে। তিনদিনের ব্যবধানে সেই 'আতঙ্কের বলি' হয়েছে স্কটিশরা।

আফগানদের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্যে প্রথম তিন ওভারে দুই ওপেনার মিলে ২৭ রান করে জয়ের কক্ষপথে ভালোই যাচ্ছিল স্কটিশদের যাত্রা। কিন্তু চতুর্থ ওভার থেকেই যেন স্কটিশদের ইনিংসে 'ভূমিকম্প' শুরু হতে থাকে।

দুই আফগানের স্পিন ঘূর্ণিতে (মুজিব-উর-রহমান: ৪-০-২০-৫, রশিদ খান: ২.২-০-৯-৪) ১০.২ ওভারেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় স্কটিশদের ইনিংস।

২৪ মার্চ, ২০১৪; ভেন্যু: চট্টগ্রাম
নেদারল্যান্ডস (৩৯ অলআউট, ১০.৩ ওভার) বনাম শ্রীলঙ্কা

ডাচরা 'লঙ্কাকাণ্ডের' শিকার হয়েছিল ৭ বছর আগেও। চট্টগ্রামে সেদিনও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (৪-০-১৬-৪) ও অজন্তা মেন্ডিসের (২.৩-০.১২-৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডাচরা গুটিয়ে যায় ৬৩ বলেই।

এসএএস/আইএইচএস/