এমন দুর্ধর্ষ পাকিস্তানকে সর্বশেষ কে কবে দেখেছে?
যোগিন্দর শর্মা এখন কী বলবেন? খুব জোর গলায় বলেছিলেন, কোহলিদের শক্তি, সামর্থ্য আর ক্ষমতা কত, তা কী বাবর আজম জানে? ভারতের প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক নিশ্চয়ই রোববার রাতে খেলা শেষ হওয়ার আগে থেকেই লজ্জায় লাল হয়ে গেছেন।
শুধু যোগিন্দর শর্মার কথা বলা কেন, তাবৎ ক্রিকেট পন্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের চোখ ছানাবড়া! এ কোন পাকিস্তান? কোন ভুতুড়ে কান্ড নেই, অদ্ভুত ও অতিনাটকীয় কিছু না করে একদম সাজানো-গোছানো ক্রিকেট উপহার দেয়া- এ কোন পাকিস্তান! নাসের হুসেইনের চোখে মুখে বিস্ময়। এ সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যকারের যেন চোখে দেখেও বিশ্বাস হচ্ছিল না, ‘এরা কারা? এরা কী পাকিস্তানি?’
খেলা শেষে টিভি কমেন্ট্রিতে অবাক নাসের হুসেইন, ‘এত সাজানো গোছানো, পরিচ্ছন্ন, নির্ভুল ব্যাটিং! কোন তাড়াহুড়ো নেই। হঠাৎ কোন অপ্রয়োজনীয় শট খেলে কিংবা এক ওভারে গোটা দুয়েক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দুম করে বাজে শটে আকাশে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরা নেই। অযথা অপ্রয়োজনে সিঙ্গেলস-ডাবলস নিতে গিয়ে কিংবা ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়া নেই। একদম ধীর-স্থির উইলোবাজি। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় ক্লিনিক্যাল ফিনিশ। পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এত সাজানো-গোছানো আর নির্ভুল ব্যাটিং কে কবে দেখেছে?
অতিবড় পাকিস্তান সমর্থকও মনে করতে পারছেন না। পারবেন কি করে? ভারতের সাথে বিশ্বকাপে হারা যে রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল পাকিস্তানীদের!
হোক তা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ‘বিশ্বকাপ’ নামটা থাকলেই যেন ভারতের ভয়ে কম্পমান ছিল পাকিস্তানিরা। জয়ই ভুলে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ নামক আসরে ভারতের সাথে যে আগে কখনো জিতেইনি পাকিস্তান। তাও একবার দুবার নয়। গুনে গুনে ১২ বার টানা হেরেছে পাকিস্তান।
ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, ইনজামাম উল হক, শহিদ আফ্রিদি, মিজবাহ-উল হক কেউ পারেননি কখনো। এবার সেই না পারাকে অবশেষে ‘জয়’ করলেন বাবর আজম। ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে অসাধ্য সাধন করলেন ২৬ বছর বয়সী এই পাকিস্তান অধিনায়ক।
কেন তাতে বিরাট কোহলির মত সময়ের সেরা উইলোবাজের সাথে তুলনা করা হয়? কী কারণে সব বড় বড় ক্রিকেট পন্ডিতরা তাকে বড় ব্যাটসম্যানের কাতারে রাখেন? কাল রাতে দুবাইতে সে সত্যের দেখা মিলেছে। তার পূর্বসুরি সাঈদ আনোয়ার-আমির সোহেল, ইনজামাম, ইউসুফ, ইউনুস আর মিসবাহরা যা পারেননি। ২৪ অক্টোবর রাতে সে কাজটিই করে দেখিয়েছেন বাবর আজম আর রিজওয়ান।
মনে করে দেখুন তো, ৯৬’র বিশ্বকাপ কোয়ার্টারফাইনালের কথা। শেষ দিকে অজয় জাদেজা (২৫ বলে ৪৫) ঝড়ে ভারত ২৮৭ রানের বড়সড় স্কোর গড়ে বসেছিল। জবাবে দুই পাকিস্তানি ওপেনার সাঈদ আনোয়ার (১৫০ স্ট্রাইকরেটে ৩২ বলে ৪৮) আর আমির সোহেল (১১৯.৫৬ স্ট্রাইকরেটে ৪৬ বলে ৫৫) কি দারুণ শুরুই না করেছিলেন!
১০ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর গিয়ে পৌঁছেছিল ৮০’র ঘরে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ৯০ দশকে ওয়ানডেতে ৮ ওভারে ৮০ রান ছিল রীতিমত বিস্ময়। সেই কাজটি করেও শেষ পর্যন্ত ২৮৮ রানের জয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তানিরা। সে জয়ে অবশ্যই ভারতীয় বোলারদের কৃতিত্ব আছে ।
তবে পাশাপাশি পাকিস্তানীদের অসহিষ্ণু ও উত্তেজক আচরণ এবং আবেগতাড়িৎ হওয়া- ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার পেছনে ভূমিকাও কম নয়।
শুধু অসহিষ্ণুতা আর উত্তেজক আচরণের কারণেই সেদিন আউট হয়েছিলেন পাক ওপেনার আমির সোহেল। তার সম্ভাবনাময় ইনিংসটি শেষ হয়েছিল নিজের নেতিবাচক আচরণের কারণেই।
এখনো স্মৃতিপটে ভাসে। টিভির পর্দায় শত কোটি ক্রিকেট অনুরাগী দেখেছেন, ‘ভারতীয় পেসার ভেঙ্কটেশ প্রাসাদকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আমির সোহেলের সে কি ঔদ্ধত্য। শরীরি ও মুখের ভাষায় বলে দেয়া, যাও আমি তো তোমাকে সীমানার ছাড়া করলাম, এবার সেই বল মাঠের বাইরে থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আসো।
তারপর ঠিক পরের বলেই আউট আমির সোহেল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম ও আকর্ষণীয় সূচনার পরও ওই ম্যাচে পারেনি পাকিস্তানিরা। সেটা যতটা না ভারতের টিম পারফরমেন্সের কারণে, ঠিক ততটাই অসহিষ্ণু আর উত্তেজক মানসিকতা এবং করণীয় কাজগুলো ঠিকমত করতে না পারার কারণে।
কেউ কেউ হয়ত বলছেন, কী আর এমন অসাধ্য সাধন করেছেন তারা? মোটে তো ১৫১ রান তাড়া করে ১০ উইকেটে জিতেছেন, বিশ্বকাপে কী আর এই রান তাড়া করে কোন দলের ১০ উইকেটে জেতার রেকর্ড নেই?
নাহ! নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৪ বছরের ইতিহাসে আগে কখনই কোন দল ১০ উইকেটে জেতেনি। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ডটি গড়েছেন ওমানের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস আর জতিন্দর সিং।
এবারের বিশ্বকাপেই প্রথম রাউন্ডে (বাছাই পর্ব) তারা পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রানের রেকর্ড গড়ে ওমানকে ১০ উইকেটের জয় উপহার দিয়েছেন। আর কাল (রোববার) তা ছাপিয়ে গেছেন দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে (সুপার টুয়েলভ)। তাও আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ।
মনে রাখতে হবে পাক-ভারত ক্রিকেট দ্বৈরথ শুধুই ক্রিকেট ম্যাচ নয়। তা ছাপিয়ে আরও কিছু। যেখানে আছে দুটি প্রতিবেশি দেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক বৈরিতা। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর থেকেই ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগলিক সীমারেখা, জাতিগত দ্বন্দ্ব, কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ লেগেই আছে।
এ দীর্ঘ শত্রুতার কারণে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ এক অঘোষিত যুদ্ধ হয়ে হয়ে দেখা দিয়েছে বারবার। যে ম্যাচ ঘিরে দু’দেশে টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যে মানুষটি জীবনে কখনো ক্রিকেট মাঠে যান না, ক্রিকেট দেখেনও না, তিনিও সব কাজ ফেলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে বসে যান টিভির সামনে। কারণ, সেখানে ক্রিকেটীয় যুদ্ধের চেয়ে দুই দেশের স্নায়ুযুদ্ধটাকেই দেখতে চান সবাই।
এসব কারণেই ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ। সর্বোচ্চ উত্তেজনা। বাড়তি আকর্ষণ। একটা জমজমাট লড়াই। সেখানে স্নায়ু যুদ্ধও চলে। এ ম্যাচে নিজের নার্ভ ঠিক ও স্বাভাবিক রেখে সাবলীল ক্রিকেট উপহার দেয়া কঠিন।
অনেক বড় বড় ক্রিকেটারও এই ভারত-পাকিস্তান মহারণে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি। স্নায়ু ঠিক রাখতে না পেরে এবং সময়ের কাজটা ঠিকমত করতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ইতিহাসের অতল গহবরে পড়ে গেছেন।
ওয়াকার ইউনুসের মত কালজয়ী ফাস্ট বোলারও ৯৬’র আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অজয় জাদেজা আর অনিল কুম্বলের কাছে বেদম মার খেয়ে চিরতরে পঁচে গেছেন।
কাল রোববার যে স্কোর তাড়া করে ঠান্ডা মাথায় একদম পেশাদার মানসিকতায় ব্যাটিং করে ১০ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান, ২০০৭ সালে প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষে এর চেয়ে মাত্র ৬ রান বেশি রান তাড়া করেও ৫ রানের পরাজয়ের রেকর্ড আছে তাদের।
ভারতীয় পেসার যোগিন্দর শর্মার করা শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। সেই ম্যাচের প্রথম বলে স্কুপ করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন পাকিস্তানের মিসবাহ-উল হক। পরের ৫ বলে দরকার ছিল ৬ রানের; কিন্তু মিসবাহ নিজের নার্ভ ঠিক রেখে ঠান্ডা মাথায় সেই বলগুলো থেকে ওই রান তুলতে না গিয়ে ঠিক পরের বলে আবার স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করেন। পাকিস্তান হেরে যায় ৫ রানে।
অনেকেরই ধারণা ছিল, গতকাল ২৪ অক্টোবরও বুঝি পাকিস্তানিরা স্বভাবসূলভ তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে, অযথা অপ্রয়োজনে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দেড়শো রানের টার্গেট ছুঁতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনবে।
কিন্তু না, অধিনায়ক বাবর আজম আর তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান একদম ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে দল জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফিরেছেন। দুজনই গড়ে ৫০ প্লাস বল খেলেছেন।
রিজওয়ান (৫৫ বলে ৭৯) এক দু’বার ‘টিপিক্যাল’ পাকিস্তান শট খেলার চেষ্টা করলেও অধিনায়ক বাবর আজম (৫২ বলে ৬৮) এক মুহূর্তের জন্যও ছটফট করেননি। একটি অপ্রয়োজনীয় শটও খেলেননি। অপেক্ষায় থেকেছেন বাজে বা আলগা বলের। খাট লেন্থের বল পেলে পুল, ভাল লেন্থের বলে জেন্টল পুশ, কব্জির মোচড়ে ঘুরিয়ে সিঙ্গেলস, একটু ওভার পিচ বা হাফভলির দেখা পেলেই ড্রাইভ খেলেছেন। আর স্কোয়ার লেগ ও তার আশপাশে মাঠের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় রিজওয়ান বার কয়েক অফের বল টেনে ওই জায়গা দিয়ে সীমানার ওপারে পাঠিয়েছেন।
অতীতে বহুবার দেখা গেছে পাকিস্তানী ফাস্টবোলাররা তেড়েফুঁড়ে বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার সুযোগ করে দেন। লাইন লেন্থ ঠিক না রেখে ক্রমাগত শর্ট বল, অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বাড়তি জায়গা দিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনেন।
কিন্তু কাল রোববরা সবাইকে অবাক করে প্রথম অংশে পাকিস্তানী বোলাররাও মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করে ভারতের রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, রিশাভ পান্ত এবং সূর্যকুমারের গড়া ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে হাত খুলে খেলা থেকে বিরত রাখেন। উইকেটের চরিত্র বুঝে অযথা জোরে বল করার চেষ্টা ছিল না কারোরই।
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে শুরুতে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাড়তি গতির সাথে সুইংয়ের মিশেলে দুই ফ্রন্টলাইনার রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুলকে উইকেটে পাঠিয়ে শুরুতেই ভারতকে পিছনের পায়ে ঠেলে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সুইং বোলার হাসান আালি ছাড়া পাকিস্তানের সব বোলার টাইট লাইন ও লেন্থে বোলিং করেছেন। অপর পেসার হারিস রউফ, লেগ স্পিনার শাদাব খানও বাড়তি টার্ন আদায়, গুগলি ছোঁড়ার চেয়ে রানের গতি নিয়ন্ত্রনে রাখায় ছিলেন বেশি মনোযোগি। ঠিক একই কাজ করেছেন আরেক পেসার হারিস রউফও। তিনিও খুব ভাল জায়গায় বল ফেলেছেন। অযথা বাউন্সার ছোড়া শর্ট বল না করে থ্রি কোয়ার্টার লেন্থের আশপাশে বল করেছেন।
প্রত্যেকের লাইনটা ভাল ছিল। আর লেন্থটা ছিল টাইট। যে কারণে বিরাট কোহলি, রিশাভ পান্ত আর হার্দিক পান্ডিয়ার মত ফ্রি-স্ট্রোক মেকাররাও হাত খুলে খেলার সুযোগ পাননি।
মোটকথা, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারতে হারতে জিততে ভুলে যাওয়া পাকিস্তানিরা কাল রোববার যেন পণ করেই নেমেছিলেন যে, আমাদের হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। এই কাজে বেপরোয়া হলে চলবে না। অযথা ও অপ্রয়োজনে তেড়েফুঁড়ে কিছু করলেও লাভ হবে না। খেলতে হবে মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে এবং করণীয় কাজগুলো ঠিক মত করে।
সেই করণীয় কাজগুলো সময়মত সুনিপুণভাবে করতে পারার কারণেই বাবর আজমের দল নতুন ইতিহাস গড়তে পেরেছে। কত রথি-মহারথিরা যা পারেননি বাবর আজমের দল সেই না পারাকে সম্ভব করেছেন। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলে। আবেগ, উত্তেজনা আর গায়ের জোরে নয়। মাঠে বোলিং, ব্যাটিং আর ফিল্ডিংয়ের তিন শাখায় লক্ষ্য ও নিশানা ঠিক রেখে বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট খেলে এবং নিজেদের কাজগুলো সঠিকভাবে করে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে বিশ্বকাপে প্রথমবার হারিয়ে আনন্দে মেতেছে পাকিস্তানিরা।
খেলা শেষে খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি অকপটে স্বীকার করেছেন, মাঠের ক্রিকেটে পাকিস্তান ছিল ভালো দল। তাই জয় তাদেরই প্রাপ্য।
সত্যি এমন টিম পারফরমেন্স অনেকদিন দেখা যায়নি পাকিস্তানের। সেই ইমরান খানের নেতৃত্বে ১৯৮৯’তে ভারতের মাটিতে ভিভ রিচার্ডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে নেহেরু কাপ বিজয় আর ৯২’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার দুটি সফল মিশন ছাড়া পাকিস্তানকে এত পরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি আর কখনও।
এআরবি/আইএইচএস