ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আবারও স্যামুয়েলস, আবারও ক্যারিবীয় শ্রেষ্ঠত্ব

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২১

২০১২ সালে বিশ্বজয়ের পরও শিরোপার ক্ষুধা মেটেনি মোটেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা তখনও ছিলেন দলে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড কেবল নিজেদের ছোট ফরম্যাটে প্রতিষ্ঠিত শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে শুরু করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু’দল মুখোমুখি হলো এবং অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে শিরোপা জিতে নিলো ক্যারিবীয়রা।

২০১২ সালের মত এবারও ফাইনালে জ্বলে উঠলেন মারলন স্যামুয়েলস। যদিও শেষ মুহূর্তে টানা চারটি ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তবে ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় শিরোপা এসেছিল স্যামুয়েলসের ব্যাটে ভর করেই।

গত ৬টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও তেমন মোড় ঘুরিয়ে দেয়া পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা তুলে ধরা হলা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ২০১৬ ৬ষ্ঠ ও শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কে হয়েছিলেন ফাইনাল সেরা...!

ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ২০১৬
আয়োজক: ভারত
চ্যাম্পিয়ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৪ উইকেটে জয়ী), রানার্সআপ: ইংল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল: মারলন স্যামুয়েলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ); ৬৬ বলে ৮৫*

‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট রিমেম্বার দ্য নেইম’- কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শেষ ওভারে বেন স্টোকসকে যখন টানা চারটি ছক্কা মেরেছিলেন, ধারাভাষ্যকক্ষে উচ্চস্বরে কথাগুলো বলছিলেন ইয়ান বিশপ।

West Indies

পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডাগআউট তখন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে উল্লাসে মত্ত। ব্র্যাথওয়েট সেদিন পাদপ্রদীপের আলোয় এলেও ম্যাচের আসল নায়ক ছিলেন আরেকজন। মারলন স্যামুয়েলস। ২০১২ সালের পর মত ২০১৬ সালেও স্যামুয়েলসের ব্যাটে লেখা হয়েছিল ক্যারিবীয় ক্যালিপসোর আসল চিত্রনাট্য।

ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা। বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন স্যামুয়েলস।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দেওয়াল হয়ে স্যামুয়েলস খেলেছিলেন ৬৬ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছিলেন ২টি। ভারতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ৩৬.২ গড়ে করেছিলেন মোট ১৮১ রান।

দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ফাইনালেই চাপের মুখে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। ক্যারিবীয়রা যেমন এককভাবে দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়েছিল, তেমনি মারলন স্যামুয়েলসও একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন।

আইএইচএস/