ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিতে পারিনি আমরা: স্কটল্যান্ড অধিনায়ক

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৪ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১

ম্যাচ শুরুর আগে টস হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় স্কটল্যান্ড। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক কাইল কোয়েতজারের বিদায়ে আরও বেড়ে যায় চাপ। একপর্যায়ে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কোণঠাসাই হয়ে পড়ে তারা। কিন্তু ম্যাচ শেষে সব হতাশা দূর করে জয়ী দলের নামটি সেই স্কটল্যান্ড।

রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলো স্কটল্যান্ড। মাত্র ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ক্রিস্টোফার গ্রিভসের ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় স্কটিশরা। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে আটকে রাখে ১৩৪ রানে, ম্যাচ জিতে যায় ৬ রানের ব্যবধানে।

অথচ এই ম্যাচে কি না নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই দিতে পারেনি স্কটল্যান্ড। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক কোয়েতজারই বলেছেন এই কথা। তবে যেকোনো পরিস্থিতি থেকে যে জিততে পারে স্কটল্যান্ড, তার প্রমাণ দেয়া গেছে বলে মনে করেন দলের অধিনায়ক কোয়েতজার।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্কটিশ অধিনায়ক বলেছেন, 'আমরা জানতাম প্রতিপক্ষকে হারাতে হলে দুর্দান্ত খেলতে হবে। নিশ্চিতভাবেই শক্তিশালী বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে পারিনি। যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকে একে অপরকে সাহায্য করেছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি।'

শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের বোলারদের প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে ভুলছেন না কোয়েতজার। শুরুতে যে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তারা, তা অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন জয়ী দলের অধিনায়ক।

তার ভাষ্য, 'বাংলাদেশি বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব প্রাপ্য। তারা ভালো দক্ষতা দেখিয়েছে। আমাদের বেশ চাপে রেখেছিলো। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলকে আপনি বাতিলের খাতায় ফেলতে পারবেন না। আমাদের ব্যাটিং গভীরতার ওপর আমরা ভরসা রেখেছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা মেরে খেলতে পারবো।'

তিনি আরও যোগ করেন, 'মাঠে প্রচুর শিশির থাকায় কাজটা একটু কঠিন ছিল। আমাদের ফিল্ডাররা দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে। পূর্ণ কৃতিত্ব তাদের। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দেখিয়ে দিলো আমরা যেকোনো অবস্থা থেকে ম্যাচ জিততে পারি। প্রথম ইনিংসের পর আমি এটাই বলেছি যে, এখন দেখাতে হবে আমরা যেকোনো জায়গা থেকে জিততে পারি।

এসএএস/জেআইএম