‘মনে রাখার মত একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই’
শুধু বল হাতে নয়, সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে মাঝেসাঝেই মেলে ব্যাটিং সার্ভিস। নতুন কিংবা পুরাতন, বল হাতে বাংলাদেশের স্ট্রাইক বোলার তিনি। আর ব্যাট হাতে প্রায়ই ঝড় তোলেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশের অন্যতম বড় শক্তি হয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
নভেম্বরেই ২৫-এ পা দেবেন সাইফউদ্দিন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার ক্যারিয়ারের প্রথম। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেললেও, সাইফউদ্দিনের কাছে এই বিশ্বকাপের গুরুত্ব থাকছে বিশেষভাবে, ‘বিশ্বমঞ্চে খেলার অনুভূতি সবসময়ই বিশেষ কিছু। আমার জন্য স্পেশাল। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেললেও এবার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবো। অবশ্যই চাই নিজের প্রথম (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো করতে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বড় একটা ছুটিই পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সাইফউদ্দিন সে সময়ই ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। নিজের সেরাটা বের করে আনতে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে করে চলেছেন। এবার তাই ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সাফল্য পাওয়ার প্রত্যাশা তার, ‘আমার বোলিংটা খারাপ হলে চেষ্টা থাকে ব্যাটিং দিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার। আবার ব্যাটিং খারাপ হলে বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। যেদিন দুইটাই খারাপ হবে, পরের ম্যাচে চেষ্টা থাকে দুটোই যেন ভালো হয়। সব মিলিয়ে আমি ইতিবাচকভাবেই বিষয়টিকে নিই। আমি মনে করি, দুটি রোল থাকায়, দলে অবদান রাখার ক্ষেত্রে আমার জন্য এটি দারুণ সুযোগ।’
স্লো উইকেটে বেশি কার্যকর সাইফউদ্দিন। তবে বিশ্বকাপের উইকেট হবে স্পোর্টিং। সাইফউদ্দিনের জন্য এটা অবশ্য নাকি কোনো সমস্যাই না। উল্টো বললেন ব্যাটসম্যানদের কিভাবে বোকা বানানো যায়, সেই পরিকল্পনাই আঁটছেন তিনি।
‘পেস বোলার হিসেবে আমাকে সব কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। পরের ম্যাচে যদি পিচের চরিত্র বদল হয়, তাহলে সে অনুযায়ী বাউন্সার, স্লোয়ার, ইয়র্কার বা ওয়াইড ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর প্রত্যেক ম্যাচই নতুন। নতুন ম্যাচে আমি কীভাবে ভালো করবো, কী করলে আমার বলে ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হবেন, সেগুলোই আমার ভাবনা। আমি ইতিবাচক ভাবনা ভেবেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করি।’
দেশের হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ, সাইফউদ্দিনের কাছে এবার সমর্থকদের চাওয়া-পাওয়া অনেক। সাইফউদ্দিন নিজে সেটা জানেন। তবে সফলতার মাপকাঠি হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নাকি এখনো ঠিক করেননি তিনি, ‘স্পেসিফিক কোনো সংখ্যা ঠিক করিনি যে, এত রান কিংবা এত উইকেট নিতে হবে। ভালো করার চেষ্টা অবশ্যই থাকবে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্বটা থাকে পাওয়ার হিটিংয়ে দলের স্কোর কিছু বাড়িয়ে নেওয়া। ওই চেষ্টাই থাকবে বিশ্বকাপে। এই চেষ্টা করতে গিয়ে দেখা যাবে ২ বলে আমার রান ৭। সেটা করতে পারলে আমি আমাকে সফল মনে করবো।’
এসএস/আইএইচএস/