ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলেই বিশ্বকাপে আশাবাদী ফাহিম
টিম ম্যানেজমেন্ট যতই আত্মবিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধির কথা বলুক না কেন, আসল সত্য হলো ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলের বিপক্ষে স্লো ও লো উইকেটে খেলে ব্যাটসম্যানদের নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস গেছে কমে। তাদের বড় শট খেলার ইচ্ছে ও সামর্থ্যেও চিড় ধরেছে। অনুকূল উইকেটে টানা ১০ ম্যাচ বোলিং করে বোলারদেরও ক্ষতি হয়েছে প্রচুর।
মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদদের হাতের কারুকাজ আর মাথা খাটিয়ে কিছু করতে হয়নি। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে কোন লড়াই-সংগ্রামও করতে হয়নি। সেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের ফ্রি স্ট্রোক প্লে সামলাতে হবে।
মোদ্দা কথা, বোলারদের জন্যও কাজটা কঠিন হয়ে যাবে আরও। তাই উঠেছে প্রশ্ন, ওমানে গিয়ে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে, আইপিএল থেকে সাকিবের দলে যোগ দেওয়ার পর কি জায়গামতো বড় কিছু করার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের? মূল পর্বে আসলে কতটা কি করতে পারবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল?
সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে দেশবরেণ্য কোচ ও সাকিব-মুশফিকদের ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম অনেক কথার ভিড়ে বেশ জোরের সঙ্গেই বলেছেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শক্তি, সামর্থ্য ও ব্যক্তিগত দক্ষতার ফারাক কমে যায়। ফলে যেকোনো দল যেকোনো সময় যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারে। সেই আলোকেই বলছি, বাংলাদেশও যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারে।’
সেই যেকোনো কিছু করে ফেলা মানে কি মূল পর্বে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সঙ্গে জেতা? ঐ চার দলের সঙ্গে কি পারবে রিয়াদের দল?
নাজমুল আবেদিন ফাহিম এ প্রশ্নের জবাব দেন ঘুরিয়ে। তার ভাষ্য, ‘আমি যদি ভারতীয় হতাম তাহলে কি বলতাম? অবশ্যই বলতাম, আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে খেলতে চাই। কিউইরাও নিশ্চয়ই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হোক, রানার্সআপ হতে চাইবে। পাকিস্তান অন্তত দুই-তিন ম্যাচ জেতার কথা বলবে। আফগানিস্তানও ওরকমই বলবে।’
‘বলার অপেক্ষা রাখে না ভারতীয়, কিউই, পাকিস্তানি ও আফগানরা নিজ দলের শক্তি, সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রেখেই বলবে। আমরা কি সেটা বলতে পারছি বা পারবো? পারবো না। আমাদের নিকট অতীতে অমন ভাল খেলার নজির কোথায়? জিম্বাবুয়ের তুলনামূলক বাউন্সি পিচে একটু ভাল খেলা ছাড়া আমাদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল খেলার নজিরটা কোথায়?’
ফাহিম যোগ করেন, ‘এছাড়া দল হিসেবেও আমরা খুব ভাল জায়গায় নেই। বাস্তব চিন্তা করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের খুব ভালো সুযোগ নেই। তবে আবারও সেই একই কথা, খেলাটি যেহেতু ২০ ওভারের, একটু ভাল করার সুযোগ সবসময়ই থাকে।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম