হেরাথের যে কথায় নাসুমের বোলিংয়ে পরিবর্তন
১৩ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ার। নিজের সেরা বোলিং করে দ্বিতীয়বারের মত ম্যাচসেরা হওয়াই শুধু নয়, আজ নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে কিছু বৈচিত্র্যও দেখা গেছে। আগের ম্যাচগুলোয় প্রায় প্রতি ওভারে শর্ট বল করেছেন। এ ম্যাচে তা ছিল না।
আগের খেলাগুলোয় টেনে টেনে জোরের ওপরে সোজা বল করার চেষ্টাও ছিল বেশ। এ ম্যাচে তা কমেছে অনেক। ফ্লাইট ও গতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছেন। আর তারই পুরস্কার ২৪ বলে ১৭টি ডট দিয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট।
এ বৈচিত্র্য আনার কৃতিত্বটা অবশ্য নিজে নেননি, দিয়েছেন স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। স্পিন কোচ তাকে পরামর্শ দিয়েছেন এ পিচে জোরের ওপর বল না করতে।
অন্যদিকে অধিনায়ক এই ম্যাচে নাসুমকে সাহায্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের মারকুটে উইলোবাজ ফিন অ্যালেনকে আউট করতে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথাই জানালেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দলে তার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি কি গুরুত্বপূনৃ সদস্য হয়ে গেছেন? এমন প্রশ্নে নাসুম বলেন, ‘আসলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছি কিনা, জানি না। তবে দল থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। বিশেষ করে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞরা আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। আর এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।’
স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথকে আলাদা কৃতিত্ব দিয়ে নাসুম বলেন, ‘কোচও আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন। তার সঙ্গে আমি অনেক কিছু শেয়ার করি। কাল অনুশীলনে কোচ বলছিলেন, এ উইকেটে আরেকটু আস্তে বল করলে ভালো হয়। সেটাই অনুশীলন করছিলাম আর আজ ম্যাচে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।’
আজ শিকার করা ৪ উইকেটের মধ্যে ফিন অ্যালেনকে আউট করে খুব খুশি নাসুম। কিউই ওপেনার শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হচ্ছিলেন। একের পর এক রিভার্স সুইপ করেছেন।
বারবার রিভার্স সুইপের চেষ্টা করা এই ব্যাটসম্যানকে আউট করার বুদ্ধিটা নাসুমকে মূলত দিয়েছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। নাসুম জানান, ‘রিয়াদ ভাই বলছিল, ও রিভার্স করলে তুই আরেকটু আস্তে বল করবি। আমি যখন বোলিং করছি তখন দেখলাম ও একটু আগেই ঘুরে গেছে। ওটা দেখে আমি জোরে বল করেছি, তাতে মিস টাইমিংয়ে উইকেটটা পেয়ে গেছি।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম