ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

লক্ষ্য ১২৯ রানের। দেখেশুনে খেললে জয় পাওয়া কঠিন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মিরপুরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের মিশনে নেমে যেন অতিআত্মবিশ্বাসে ভুগছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা।

যদিও ওপেনিং জুটিতে লিটন দাস আর নাইম শেখ ১৭ বলেই তুলে ফেলেছিলেন ২৩ রান। কিন্তু ১১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করে লিটন আউট হওয়ার পরই বিপদ নেমে আসে স্বাগতিক শিবিরে।

ম্যাকঞ্চির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন। পরের ওভারেই সাজঘরে শেখ মেহেদি হাসান। প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে আসা মেহেদি (৪ বলে ১) বাজে শট খেলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ হয়েছেন।

অ্যাজাজ প্যাটেল ওই ওভারে আরও এক উইকেট তুলে নিয়েছেন। এবার আউট অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। উইকেটে এসেই লংঅনে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার (২ বলে ০)।

এরপর হতাশ করেছেন নাইম শেখও। দেখেশুনে খেলতে থাকা এই ওপেনার বোল্ড হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্রর বলে, ১৯ বলে দুই বাউন্ডারিতে তখন ১৩ রানে নাইম। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা।

 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান। মাহমুদউল্লাহ ২ এবং মুশফিকুর রহীম ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে টম ব্লান্ডেল আর হেনরি নিকোলসের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। ৬২ রানেই তারা খুইয়েছিল ৫ ব্যাটসম্যানকে।

টসভাগ্য আজ সহায় ছিল না টাইগারদের। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে বরাবরের মতো স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

কিন্তু এবার শুরুতেই কিউইদের ধাক্কা দেয়া যায়নি। শেখ মেহেদি হাসান প্রথম ওভারে দেন ১১ রান। দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বসেন একাদশে ফেরা ফিন অ্যালেন।

নাসুম আহমেদ করেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেও একটি বাউন্ডারি হাঁকান অ্যালেন। যদিও নাসুম পরে ভালো বল করেছেন। ওভারে সবমিলিয়ে দেন মাত্র ৫ রান।

তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলেই উইকেট। সেই অ্যালেন, যিনি কিনা মারমুখী ভূমিকায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

সফট ডিসমিসাল যাকে বলে! মোস্তাফিজের ফুলার ডেলিভারি বুঝতে না পেরে আলতো ব্যাট ছুঁইয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন অ্যালেন (১০ বলে ১৫)। মোস্তাফিজ ওই ওভারে নেন উইকেট মেইডেন।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে চোখ রাঙানি দিচ্ছিল রাচিন রবীন্দ্র আর উইল ইয়ংয়ের জুটি। ২৬ বলে ৩১ রান যোগ করেন তারা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪০ রান তুলে কিউইরা। বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিক দল।

সেই অস্বস্তি দূর করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সপ্তম ওভারে এসে তিন বলের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন টাইগার পেসার। ওভারের চতুর্থ বলে তার শিকার ইয়ং (২০), ষষ্ঠ বলে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০)।

দশম ওভারে মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে বোল্ড হন রাচিন রবীন্দ্র (২০ বলে ২০)। পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারায় কিউইরা, এবার দলের অধিনায়ক। শেখ মেহেদিকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন টম ল্যাথাম (৯ বলে ৫)।

৬২ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড দেখেশুনে এগোনোর চেষ্টা করে। ঝুঁকিপূর্ণ শট বাদ দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কৌশল নেন হেনরি নিকোলস আর টম ব্লান্ডেল।

কৌশলটা মোটামুটি কাজে দিয়েছে বলা যায়। কিউই যুগল উইকেটে সেট হয়ে শেষদিকে হাত খুলেছেন। তাতে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে উঠে। ব্লান্ডেল ৩০ বলে ৩০, নিকোলস ২৯ বলে ৩৬ রানে অপরাজিতই থেকে যান।

বল হাতে সবচেয়ে সফল সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। মোস্তাফিজ সমান ওভারে ২৯ এবং শেখ মেহেদি ২৭ রানে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

মাহমুদউল্লাহ ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০ রানে এক ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন। তবে সাকিব ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। নাসুমও পাননি উইকেটের দেখা, তবে ভালো বোলিং করেছেন। ২ ওভারে তার খরচ ১০ রান।

এমএমআর/জিকেএস