ভারতকে অল্পে থামিয়ে স্বস্তিতে নেই ইংল্যান্ডও
হেডিংলিতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইনিংস পরাজয় ঘটেছিল ভারতের। ওভালেও অব্যাহত তাদের ব্যর্থতার ধারা। ব্যাটসম্যানদের টানা বাজে ফর্মের মাশুল দিয়ে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট হয়েছে ভারত। জবাবে শেষ বিকেলে খেলতে নেমে স্বস্তি নেই ইংল্যান্ডেরও। তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ৫৩ রানে।
ভারতকে অলআউট করার পর প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ১৭ ওভার ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার ও অধিনায়ক। দলকে গভীর বিপদে ফেলে মাত্র ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ররি বার্নস ও হাসিব হামিদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রান যোগ করেন জো রুট ও ডেভিড মালান।
চলতি বছর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন জো রুট। এ সিরিজের তিন ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাকে ২১ রানের বেশি করতে দেননি উমেশ যাদব। সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ককে। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি ডেভিড মালান (২৬) ও ক্রেইগ ওভারটন (১)
এর আগে সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানেই ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবু কপাল ভালো বলতে হবে ভারতের। লোয়ার অর্ডারের শার্দুল ঠাকুর হাফসেঞ্চুরি না করলে পরিণতি আরও খারাপ হতে পারতো।
অধিনায়ক বিরাট কোহলির ফিফটির পর সাত নম্বরে নামা শার্দুল করেছেন ৫৭ রান। তাতেই দুইশর কাছাকাছি যেতে পেরেছে সফরকারীরা।
অথচ একটা সময় মোটামুটি খারাপ ছিল না ভারতের অবস্থা। ৪ উইকেটে তুলেছিল ১০৫ রান। কিন্তু ৫০ রান করে কোহলি ফিরতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সফরকারিদের ইনিংস। ১২৭ রানে হারায় ৭ উইকেট।
সেখান থেকে শার্দুল ঠাকুরের লড়াই। ঝড়ো এক ইনিংস খেলে দলকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন এই লোয়ার অর্ডার। ৩৬ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি। ৬১.৩ ওভারে অলআউট হয় ভারত।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ক্রিস ওকস। ৫৫ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ৩ উইকেট শিকার ওলি রবিনসনের।
এসএএস/জেআইএম