ফের মাহমুদউল্লাহর ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন পাপন
‘আমি আর টেস্ট খেলব না, টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছি’-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে এমন ঘোষণা দেননি। কিন্তু হারারে টেস্ট চলাকালীন সতীর্থ ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফসহ সবাইকে ড্রেসিংরুমে জানিয়েছিলেন যে, সেটিই তার শেষ টেস্ট।
সতীর্থরা ওই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ী ‘গার্ড অব অনার’ও দেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে তিনি গণমাধ্যমের সামনে এই প্রসঙ্গটাই এড়িয়ে যান। বরং কিছু দিন আগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে (টেস্ট অবসর) পরে কথা বলব। আপনারা শিগগিরই জানতে পারবেন।’
মাহমুদউল্লাহর ওই কথার মাঝেই একটা ধোঁয়াশে ভাব ছিল। আজ (বুধবার) বিকেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্যে রিয়াদের টেস্ট অবসর নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হলো।
প্রশ্ন ছিল, মাহমুদউল্লাহ কি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন? উত্তরে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘না নেয়নি।’ তারপর যোগ করেন, ‘একটার পর একটা সিরিজ চলছে। বায়োবাবল থাকে। রিয়াদের সাথে বসতে হবে। সবার সামনে হয় না। এটা এখনও ঝুলে আছে।’
তবে কি মাহমুদউল্লাহ এবং বোর্ডের মাঝে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে? পাপনের জবাব, ‘নাহ। এখানে দূরত্ব জানামতে নেই। তামিমের ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরে। নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি খেলবে না জানিয়েছিল। জিম্বাবুয়েতেও জানিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া এলো, তখনও জানিয়েছিল। এর বাইরে কোনো কাহিনি আছে কি না বসতে হবে (আলোচনার জন্য)। থাকতে পারে। আমি জানি না।’
মাহমুদউল্লাহর টেস্ট অবসরের কথা শুনেই খেপেছিলেন পাপন। বিসিবি সভাপতি সেই ইস্যুতে আরও একবার ক্ষোভ ঝাড়লেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ওপর। তামিমের আচরণ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে রিয়াদের জিম্বাবুয়ে গিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর তুলনা করে তীব্র সমালোচনা করতেও ছাড়েননি আজ।
পাপন বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ কিন্তু টেস্ট দলে ছিল না। ওকে আমার বাসায় নিয়ে বসেছিলাম। জিজ্ঞেস করেছি বারবার, টেস্টে সে আগ্রহী কি না। আমার জানামতে, সে তিন সংস্করণের মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত টেস্ট পারফরমার। সে আমাকে প্রতিবার বলেছে, খুব আগ্রহী টেস্ট খেলতে। আমরা বলেছিলাম কে কোন সংস্করণ খেলবে লিখিত দাও। রিয়াদ লিখে দিয়েছে, টেস্ট খেলবে যদি দলে নেওয়া হয়। সে কিন্তু পরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল দলে।’
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘এত কিছুর পর তাকে যখন পাঠানো হলো, সে যখন ঘোষণাটা দিলো, এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। তামিমের সঙ্গে এটা মেলাতে পারছি না। তামিমেরটা আমাদের জানা ছিল। রিয়াদেরটা অপ্রত্যাশিত। এভাবে উচিত নয়। এভাবে আকস্মিক কোনো খেলোয়াড় ঘোষণা দিতে পারে না।’
তাহলে কি মাহমুদউল্লাহ বিসিবির লাল বলে চুক্তিতে থাকবেন? এমন প্রশ্নে পাপনের উত্তর, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তিটা মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে অনেকে আছে, অনেকে নেই। তামিম যেহেতু বলছে, টি টোয়েন্টিতে নেই সে। আবার ওয়ানডে, টেস্টে আছে। রিয়াদ যেহেতু ওখানে ঘোষণা দিয়েছে, এখনও সামনাসামনি কিছু বলেনি যে, সে টেস্টে নেই। তাই রিয়াদ যদি খেলে, তাহলে অন্তর্ভুক্ত হবে।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম