শেখ কামাল পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত পাপন
ক্রিকেট এখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। ক্রিকেটাররা একেকজন দেশের শুভেচ্ছা দূত। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি বেড়েছে এই ক্রিকেট দিয়েই। ক্রিকেটই এখন বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা, আশা-ভরসা এবং ঐক্যের প্রতীক।
টাইগারদের প্রতিটি সাফল্যে উদ্বেলিত হয় ১৭ কোটি মানুষ। অর্জন ও প্রাপ্তির কারণে ক্রিকেট এরই মধ্যে সমাদৃত হয়েছে সর্বত্র। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট তাই মূল্যায়িতও হয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় পুরস্কার না পেলেও ২০০১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারও পেয়েছে ক্রিকেট। এবার ক্রিকেটের মিললো আরও এক বড় প্রাপ্তি। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যিনি এনেছিলেন আলোকচ্ছ্বটা, যার নিজ হাতে গড়া আবাহনী ক্রীড়া চক্র অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে উঠেছিল ঢাকা তথা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় শক্তিতে। সেই আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু তনয় শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নামে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কারে ভূষিত হলো দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার সে পুরস্কার পেয়ে উদ্বেলিত হয়ে উঠলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবি সভাপতি বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘দেশ বরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের নামের পুরস্কার পাওয়াটা অন্যরকম ভাল লাগার এবং এমন এক সময় যখন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মত দলকে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারিয়েছে।
পাপন বলেন, ‘যখন নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোনো কিছু অর্জন করে তখন স্বাভাবিকভাবেই সারাদেশের মানুষের মতো আমরাও অত্যন্ত আনন্দিত হই। খুব ভালো লাগে। অনেকগুলি পুরস্কার আছে কিন্তু; অনেক বড় বড় পুরস্কার সেগুলি। স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কার আছে। কিন্তু আমাদের কাছে বিশেষ করে, আমার কাছে মনে হয় যেহেতু এটা ক্রিকেট এবং খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত আমার মনে হয় এর চেয়ে বড় অর্জন শহীদ শেখ কামাল জাতীয় পুরষ্কার। আমি মনে করি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার এবং সময়টাও বেশি ভালো লাগছে। এমন একটা সময়ে যখন আমরা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সাথে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে আজ এ পুরস্কার নিতে পারছি। উল্টোটাও হতে পারত। তখনও ভালো লাগত; কিন্তু জয় পাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম