মোহামেডানের দুঃখ প্রকাশ, সতর্ক করলো সিসিডিএম
কদিন আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মোহামেডান ক্লাবের বিপক্ষে জৈব সুরক্ষা বলয় ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনামের উদ্ধৃতি দিয়ে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল সিসিডিএম আর বিসিবি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রিমিয়ার লিগ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যেই ১২ ক্লাবকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
কিন্তু গত ৪ জুন হঠাৎ মোহামেডান ক্লাব সেই জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙ্গেছে। সিসিডিএম ও বিসিবি থেকে তার তদন্ত করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন কাজী ইনাম।
আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বিসিবি থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় সিসিডিএম চেয়ারম্যান তথা বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম জানালেন, তারা তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছেন।
গতকাল ৮ জুন মঙ্গলবার বিকেলে এক জুম কনফারেন্সে মোহামেডানের সাকিব আল হাসান আর ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের সাথে বোর্ড সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন এবং বিসিবির অন্যতম সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস একান্তে কথা বলেছেন। সেখানে তারা মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব এবং ম্যানেজার শিপনের কাছে পুরো ঘটনা জানতে চান। তারা যে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন, সে অভিযোগও উত্থাপন করা হয়।
এই ঘটনায় মোহামেডানের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে সিসিডিএম থেকে মোহামেডানকে একটি নোটিশ প্রদানের কথা বলেন সিসিডিএম প্রধান। সেটা কি? তা অবশ্য আর ভেঙে বলেননি কাজী ইনাম। তবে তার কথায় পরিষ্কার ইঙ্গিত, মোহামেডান ক্লাবকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন বিকেলে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিবসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেন। সেখানে হোটেল ওয়েস্টিনে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা ক্লাবের সাপোর্টিং স্টাফের বাইরেও একজন ছিলেন। সেটা নিয়েই বিপত্তি।
সিসিডিএম কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবি ক্রিকেটারদের এবং ১২ প্রতিযোগী ক্লাবের পুরো বহরের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পাঁচ তারকা হোটেলে কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করেছে।
এই কঠোরতার ভেতরে থেকেই শেরে বাংলা স্টেডিয়াম আর বিকেএসপিতে প্রায় প্রতিদিন ম্যাচ খেলছে ঢাকার ক্লাবগুলো। ৩১ মে থেকে শুরু হওয়া এবারের প্রিমিয়ার লিগে ইতিমধ্যে গড়পতা সব ক্লাব ৫টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তার মানে লিগের প্রথম পর্বের প্রায় অর্ধেক শেষ।
এর মধ্যে মোহামেডান ক্লাব ঐ জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে প্র্যাকটিস করেছে শেরে বাংলায়। ঐ অনুশীলনের ছবিসহ মিডিয়ায় প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে।
এআরবি/এমএমআর/এএসএম