ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

রাজস্থানের তরুণদের যে পরামর্শ দিয়েছেন মোস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ৩০ মে ২০২১

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ঘুরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৪তম আসরে রাজস্থান রয়্যালসে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রাজস্থানের হয়ে প্রথম মৌসুমেই সবার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোস্তাফিজকে নিয়ে দলটি মাতামাতিতেই এর প্রমাণ মেলে।

শুধু দলের ভক্ত-সমর্থক নয়, খেলোয়াড়দের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছেন মোস্তাফিজ। করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে রাজস্থানের হয়ে এবারের আইপিএলে সাত ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। রাজস্থানের হয়ে নতুন কিংবা পুরোনো বল- ইনিংসের দুই দিকেই দারুণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ।

তরুণ বাঁহাতি পেসার চেতান সাকারিয়ার সঙ্গে মিলেই মূলত রাজস্থানের বোলিং আক্রমণ সামাল দিতেন মোস্তাফিজ। পাশাপাশি জয়দেব উনাদকাতের মতো পরীক্ষিত বোলার এবং কার্তিক ত্যাগির মতো সম্ভাবনাময় তরুণরাও ছিলেন দলে। রাজস্থানের তরুণরা মোস্তাফিজের কাছ থেকে নিয়েছেন নানান পরামর্শ।

শনিবার রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজে মোস্তাফিজের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে রাজস্থান রয়্যালস। যেখানে বাংলায়ই পরিচালনা করা হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সিদ্ধার্থ লাহিরির নেয়া সাক্ষাৎকারে একটি প্রশ্ন ছিল রাজস্থানের তরুণ পেসারদের নিয়ে। তাদের সঙ্গে কী নিয়ে কথা হয়েছে বেশি এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় মোস্তাফিজের কাছে।

উত্তরে মোস্তাফিজ বলেন, ‘ওদের শেখার আগ্রহটা অনেক বেশি। এ জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। ওরা আমার কাছে শোনে কীভাবে আমি কাটার মারি কিংবা এখন আমার ইয়র্কারটা ভালো হচ্ছে- এটা কীভাবে করি। কোন জায়গায় তাকালে ইয়র্কারটা ভালো হবে, রানআপ আস্তে না জোরে হবে- এমন অনেক কিছুই শোনে আমার কাছে। আমি যেটা অনুভব করি, সেটা বলি, ওরাও চেষ্টা করে।’

এসময় রাজস্থানের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে যখন এসেছি, আমার মনে হয়নি যে আমি নতুন এসেছি। দলের সবাই... খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। যেন আমি পুরোনো দলেই এসেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে, দারুণ সময় কেটেছে। সবাই খুব হেল্পফুল।’

দলের অধিনায়ক সানজু স্যামসনের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব দেখা গেছে মোস্তাফিজের। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন খুবই ভালো মানুষ। প্রথমদিন হাই-হেলো করার পর থেকেই আমার খুবই ভালো লাগছে। মাথা গরম করা ক্যাপ্টেন না, সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখে। এটা খুব ভালো, দলের জন্যও ভালো। যেমন ভালো-খারাপ সময়ে কী করলে ভালো হবে, এদিক থেকেও সাহায্য হয়। যেটা বললাম, খুব হেল্পফুল।’

এসএএস/এমএস