আর না খেলতে পারলে আফসোস নেই, তবু বলবই : শোয়েব মালিক
রাখঢাক না রেখেই বললেন-আমি জানি এসব কথায় আমার ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে, তবু বলছি। আর কখনও জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও আফসোস নেই, হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে শোয়েব মালিক জানালেন, এসবের আর পরোয়া করছেন না।
স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) রীতিমত ধুয়ে দিলেন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। তার দাবি, জাতীয় দল নির্বাচন হয় ব্যক্তিগত পরিচিতির মাধ্যমে, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে নয়।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যান শোয়েব মালিক। এরপর থেকে টি-টোয়েন্টি দলেও নিয়মিত নন। সর্বশেষ খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। যে সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। তারপর থেকে দলের বাইরে।
ক্ষুব্ধ মালিক পাকিস্তানি সাংবাদিক সাজ সাদিকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে পছন্দ-অপছন্দের একটা সিস্টেম আছে। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়ও আছে, তবে আমাদের কালচারে বেশি। সেদিনই আমাদের ক্রিকেট বদলাবে যেদিন ব্যক্তিগত পরিচিতি না দেখে দল নির্বাচনে স্কিলকে গুরুত্ব দেয়া হবে।’
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শহীদ আফ্রিদির মতো দেশের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার পর্যন্ত বলেছেন, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে যেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে রাখেন নির্বাচকরা। সেটা হয়তো হতেও পারতো। কিন্তু মালিকের এভাবে মুখ খোলার পর কি সেই সুযোগ থাকবে?
তিনি জানেন, এসব কথায় ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিলেন। তবে সতীর্থ ক্রিকেটারদের পক্ষ হয়ে হলেও সত্যটা প্রকাশ করা দায়িত্ব ছিল, মনে করেন বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার।
মালিক বলেন, ‘আমার ভাগ্য আল্লাহর হাতে, কোনো মানুষের হাতে নয়। আর যদি দলে ডাকা না হয়, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কিন্তু যদি আমার সঙ্গী ক্রিকেটারদের পক্ষ হয়ে এই কথাগুলো বলতে না পারি, তবে আমার আরও বেশি আফসোস থাকবে।’
এমএমআর/এমএস