নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে বিশ্বের ক্রিকেটাররা
পবিত্র রমজান মাসে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার ফিলিস্তিনের জনগণ। সোমবার ভোরে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর পর সন্ধ্যায় গাজার বেশ কয়েকটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সেখানে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ জন। এদের মধ্যে অন্তত ১৭ শিশু ও আটজন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৯০ ফিলিস্তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্বর এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্বের ক্রিকেটাররা, সহমর্মিতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন থেকে শুরু করে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা প্রার্থনা করছেন ফিলিস্তিনের জন্য।
ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে রুবেল লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনকে বাঁচান, মুসলিমদের বাঁচান। আমরা ফিলিস্তিনের পাশে আছি। ফিলিস্তিনিরা, তোমরা আমাদের দোয়ায় আছো।’
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমসহ অন্তত সাত ক্রিকেটার আওয়াজ তুলেছেন ফিলিস্তিনের পক্ষে। টুইটারে বাবর লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য দোয়া। মানবতার জন্য দাঁড়াতে শুধু মানুষ হওয়াই যথেষ্ঠ।’ এছাড়া শান মাসুদ, আজহার আলি, শাদাব খানরাও জানিয়েছেন নিজেদের প্রার্থনা।
আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান তার টুইটে জানিয়েছেন, শিশুহত্যার চেয়ে জঘন্য আর কিছুই হতে পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা নিজের ইন্সটাগ্রামে এক দীর্ঘবার্তায় নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ টেনে ফিলিস্তিনের মানুষের মুক্তির দাবি তুলেছেন।
শুধু আমলা একা নন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে তাবরাইজ শামসি, জর্জ লিন্ডে এবং কাগিসো রাবাদাও নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতি। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি এবং ভারতের ইরফান পাঠানও আওয়াজ তুলেছেন ইসরায়েলের এ হামলার বিরুদ্ধে।
ফিলিস্তিনে মিলিটারি হামলার প্রতিবাদে ক্রিকেটারদের সরব হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৪ সালেও গাজায় এমন বর্বরোচিত হামলা করেছিল ইসরায়েলি মিলিটারি। এর প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে ‘ফিলিস্তিনকে মুক্তি দাও’ ও ‘গাজা বাঁচাও’ লেখা রিস্টব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলি।
এসএএস/এমকেএইচ