ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

প্রেমিকাকে ফোন করার নামে আইপিএলে অভিনব জুয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ০৬ মে ২০২১

করোনাভাইরাসের কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের সবশেষ দুই আসরের সব খেলা হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। নিজেদের জুয়ার কাজে এ সুযোগটি নেয়ার জন্য অভিনব এক পথ বেছে নিয়েছিলেন ভারতের দুই জুয়ারি। তবে সফল হননি, ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

সাধারণত মাঠ থেকে টিভি ব্রডকাস্টিংয়ে প্রায় চার-পাঁচ সেকেন্ড বিল্মব হয়। অর্থাৎ মাঠে যখন ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকান, তখন টিভিতে দেখা যায় বোলার মাত্র রানআপ শুরু করেছেন। এই কয়েক সেকেন্ডের বিলম্ব কাজে লাগিয়েই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন জুয়ারিরা।

জুয়ারিদের কয়েকজনকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মাঠে। তারা সরাসরি খেলা দেখে ধারাভাষ্যের মতো বিবরণী দিতে থাকেন মোবাইল ফোনে। আগেভাগে সেগুলো পেয়ে বিভিন্ন অনলাইন বেটিং সাইটে জুয়ায় কোটি কোটি টাকা লাগিয়ে দেন বাইরে থাকা তাদের দলের অন্যান্যরা। এভাবেই চলে জুয়ার বিশাল চক্র।

কিন্তু দুই আসর ধরে আইপিএলের গ্যালারিতে দর্শক নিষেধাজ্ঞা থাকায়, মাঠে বসে এই পিচ সাইডিং করতে পারছেন না জুয়ারিরা। ফলে জমছে না তাদের জুয়ার ব্যবসা। তাই এবার উপায়ন্ত না দেখে নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে মাঠে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছিলেন দুই জুয়ারি।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচগুলোতে পরিচ্ছনকর্মীর পরিচয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন তারা। খেলা শুরুর পর মোবাইল ফোনে টানা আপডেট দিতে থাকেন ম্যাচের। এমন তথ্য পেয়ে সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান সাব্বির হুসেন বলেছেন, ‘আমাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।’ তবে এ দুজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে তৃতীয় আরেকজনকেও সন্দেহ করা হয়। কিন্তু তিনি অভিনব কায়দায় ফাঁকি দেন পুলিশকে। সাব্বির জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন তৃতীয় ব্যক্তি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ফোনে টানা কথা বলে যাচ্ছিলেন। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, প্রেমিকাকে ফোন করছি। কিন্তু আসল ঘটনা ভিন্ন।

সাব্বির বলেন, ‘সন্দেহ হওয়ায় আমাদের এক অফিসার গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ঐ ব্য়ক্তি জানায়, সে তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল। আমাদের অফিসার আবার কল করতে বলে। তখন ঐ ব্যক্তি ফোনটি অফিসারকে দেয়। সেই ফাঁকেই দৌড়ে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও যোগ করেমন, ‘সম্ভবত প্রভাবশালী কোনও জুয়াড়িকে খবর দিচ্ছিল ঐ ব্যক্তি। গলায় বোর্ডের দেয়া পরিচয়পত্রের মতো দেখতে নকল কার্ড ছিল। এ ধরনের পরিচয়পত্র পরিচ্ছনকর্মী থেকে শুরু করে বাসচালক, ম্যাচ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দেওয়া হয়। আমরা দিল্লি পুলিশকে জানাই। পুলিশ তৎপর হয়। তারপর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এসএএস/এমকেএইচ