ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

অক্সিজেন কিনতে ভারত সরকারকে ৩৭ লাখ রুপি দিলেন অসি পেসার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড গড়ছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। যা একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড। এছাড়া এসময়ের মাঝে মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ৮১২ জন।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ভয়াল থাবায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত গোটা ভারত। সারা দেশেই দেখা দিয়েছে ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট। কোনোমতে হাসপাতালের একটি বেড পাওয়া গেলেও, অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে অনেক মানুষ। এমতাবস্থায় এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিনস।

বর্তমানে আইপিএলে খেলার উদ্দেশ্যে ভারতে অবস্থান করছেন কামিনস, খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। ভারতের চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে ৫০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ রুপি) অনুদান দিয়েছেন তিনি।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি অনুদানের কথা জানিয়েছেন কামিনস। পাশাপাশি সতীর্থ খেলোয়াড়দেরও আহ্বান জানিয়েছেন কেকেআরের এই পেসার।

বিশদ বার্তা দিয়ে টুইটারে কামিনস লিখেছেন, ‘ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে আসতে ও খেলতে সবসময়ই ভালোবাসি আমি। এখানের মানুষ সবসময় ভালোবাসা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে আমাকে। এখন অনেক মানুষ ভুগছে, এটি জানতে পেরে আমার খুব খারাপ লাগছে।’

‘এখানে অনেক ধরনের আলোচনা চলছে যে, করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও আইপিএল চালিয়ে নেয়া সঠিক কাজ হচ্ছে কি না। আমাকে জানানো হয়েছে যে, লকডাউনের মধ্যে আইপিএল চললে এটি দেশের মানুষের মনে কয়েক ঘণ্টার জন্য খানিক আনন্দের যোগান দিতে পারে।’

‘ক্রীড়াবিদ হিসেবে, আমাদের কাছে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম আছে যার মাধ্যমে আমরা লাখো মানুষের কাছে পৌঁছতে পারি। এই চিন্তা থেকেই আমি প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে একটা অনুদান দিয়েছি। বিশেষ করে ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য।’

‘আইপিএলে আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড় এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা মানুষদের আহ্বান জানাচ্ছি, সবাই এগিয়ে আসুন। আমি ৫০ হাজার ডলার অনুদানের মাধ্যমে এর শুরু করছি। আমি জানি, আমার অনুদান কোনো বড় অঙ্ক নয়। তবে আশা করছি এটা কিছু মানুষের জন্য হলেও সাহায্য হবে।’

এসএএস/জিকেএস