ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘রোদে পোড়া’ পরিশ্রমের পরও যে কারণে খুশি তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১

কি পরিশ্রমটাই না যাচ্ছে! একজন পেস বোলারের জন্য গরমের মধ্যে এভাবে ওভারের পর ওভার বল করা, সেটাও আবার নিখাঁদ ব্যাটিং উইকেটে। নিঃসন্দেহে কঠিনতম এক কাজ। ‘রোদে পোড়া’ সেই পরিশ্রমটাই হয়েছে তাসকিন আহমেদের।

বাকিদেরও হয়েছে। কিন্তু তিন পেসারের মধ্যে পাল্লেকেলে টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাসকিনই অপেক্ষাকৃত ভালো বোলিং করেছেন। ফলে তার ওপর চাপও গেছে বেশি। আবু জায়েদ রাহি ১৩ আর এবাদত হোসেন বল করেছেন ১৭ ওভার। সেখানে লঙ্কান ইনিংসে তাসকিন করেছেন ২৫ ওভার।

কষ্টটা তাই তাসকিনেরই হয়েছে বেশি। এর মধ্যে আবার তার দলে ফেরাও দীর্ঘ বিরতির পর। সেই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে খেলেছিলেন সর্বশেষ টেস্ট। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর আবারও সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছেন এই পেসার।

অনুভূতিটা কেমন? কাঠপোড়া পরিশ্রমেরও পর তাসকিনের চোখেমুখে স্বস্তির রেখা। ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো লাগছে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটটাই আসল ক্রিকেট। এখানে মানসিক, শারীরিক, স্কিল-সব কিছুই বেশি লাগে। এখানে ভালো করলে ভবিষ্যতে ছোট ফরম্যাট সহজ হবে। এটা অনেক চ্যালেঞ্জের জায়গা। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আবার টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি।’

শেষ কবে ২৫ ওভার বল করেছেন? এমন প্রশ্নে তাসকিনের উত্তর, ‘শেষ জাতীয় লিগে খেলা..তার আগের সিজনে, মানে গত মৌসুমে, কোভিডের আগে যে মৌসুমটা হয়েছে তাতে এত ওভারের মতো বল করেছিলাম।’

বাংলাদেশ দলে আসলে পেসারদের জন্য সুযোগ কম। দেশে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলা হলে একজন পেসার খেলেন বেশিরভাগ সময়। বিদেশে তিনজন একসাথে খেলার সুযোগ মিলল, এমন সময়ে কি না উইকেটের এই অবস্থা!

তাসকিন ভাগ্যটা মেনেই নিচ্ছেন। তার কথা, ‘এটা আসলে মেনে নিতেই হবে। কন্ডিশন যেমন হোক আবহাওয়া/উইকেট তো আমাদের হাতে নেই। যেটা ফোকাস করছি তা হলো- ভালো জায়গায় বল করা, কিভাবে রান আটকে রাখা যায়, ওই চিন্তা করেই বল করছি। আমি আমার শক্তি অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করছি। যেহেতু উইকেটে হেল্প নাই, তো কিছু তো করার নাই। দলকে সেরা বল করে সাহায্য করার চেষ্টাই করছি।’

এই টেস্ট নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে। তবে ক্রিকেট যেহেতু অনিশ্চয়তার খেলা, আগাম কিছু বলতে নারাজ তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের কথা, ‘এই টেস্টে ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু এটা যেহেতু ক্রিকেট, যেকোন সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। দ্বিতীয় টেস্টে এমন উইকেটে খেলা হলে আরও আঁটসাঁট হতে হবে, আরও রান আটকে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গায় বল ফেলতে হবে। এছাড়া তেমন কিছু করার নেই আসলে।’

এমএমআর/এমকেএইচ