ক্রিকেটারদের পর ৮ মাঠকর্মী করোনা আক্রান্ত, শঙ্কায় আইপিএল

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশসহ পুরো ভারতে। ভারতের দৈনিক সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯১৩ জন। বাদ পড়েননি আইপিএলের ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের ৮ মাঠকর্মী।

যার ফলে অনুশীলন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আইপিএল। প্রথম ম্যাচ চেন্নাইয়ে। তার আগে ৮ মাঠকর্মীর এই ঘটনা চিন্তায় ফেলল ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআইকে।

শুধু ৮ মাঠকর্মী নন, করোনা আক্রান্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটার অক্ষর প্যাটেল। আজ জানা গেছে ব্যাঙ্গালুরুর ওপেনার দেবদুত পাড্ডিকাল। এমনটাই খবর জানাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া।

জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটারদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের নিয়মানুযায়ী, আগামী দশদিন বায়ো-বাবলের বাইরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের। এ সময়ের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন।

চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ রয়েছে ওয়াংখেড়েতে। ১০ এপ্রিল সেই ম্যাচ দিয়েই মুম্বাইয়ে শুরু হবে আইপিএল। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত খেলা রয়েছে ওই ভেন্যুতে। মাঠে দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। মহারাষ্ট্রে করোনা যে হারে বাড়ছে তাতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেখানকার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। মুম্বাইয়ে হবে ১০টি ম্যাচ।

আইপিএলের ভেন্যু তৈরিতে কাজ করা বেশির ভাগ মাঠকর্মীই ট্রেনে যাতায়াত করেন। সেখান থেকেই করোনা সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি কর্মীদের জন্য মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামেই থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে।

এক সদস্য বলেছেন, ‘মাঠকর্মীদের জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করছি। স্টেডিয়ামে প্রচুর ঘর রয়েছে, যেখানে তাদের রাখা যেতে পারে। আইপিএলের ম্যাচ হওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সম্প্রতি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ১৯ জন গ্রাউন্ড স্টাফের আরটি-পিসিআর টেস্ট করানো হয়। ২৬ মার্চ তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ১ এপ্রিল আরও পাঁচজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এরপরই নড়েচড়ে বসে বিসিসিআই। এমনকি পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ১০ এপ্রিল দিল্লি বনাম চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচের আগে মাঠ প্রস্তুত করতে অন্য জায়গা থেকে গ্রাউন্ড স্টাফ আনা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, বান্দ্রা-কুরলায় শারদ পাওয়ারের অ্যাকাডেমি এবং কান্দিভালিতে শচিনের অ্যাকাডেমি থেকে আনা হবে গ্রাউন্ড স্টাফদের। তবে এ ঘটনার পরই যেন আরও চিন্তায় পড়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। তাদের চিন্তা, কিভাবে হবে অনুশীলন? কিভাবে হবে টুর্নামেন্ট? ইতিমধ্যে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে দলগুলি।

আইএইচএস/এমকেএইচ