সাকিব রাজি, এবার কেকেআরে দেখা যেতে পারে নতুন ভূমিকায়
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। ২০১১ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) বসতি, খেলেছেন টানা সাত বছর। আইপিএলে কেকেআরের অর্জন দুই শিরোপা-২০১২ আর ২০১৪ সালে। দুটিতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাকিব।
এই ঘরের ছেলেকে ২০১৮ সালে ছেড়ে দিয়েছিল কেকেআর। সাকিব নাম লিখিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। টানা দুই বছর কেকেআর প্লে-অফ খেলতে পারেনি। সাকিবের মূল্য হারে হারেই টের পেয়েছে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটি।
এক বছর নিষিদ্ধ থাকা সাকিব প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর কেকেআর আর ভুল করেনি। এবার ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে কিনে নেয় তারা। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু আইপিএলের ১৪তম আসর, যেটি খেলতে এখন কলকাতায় সাকিব।
সাকিবকে নিয়ে কেকেআরের এবার বড় স্বপ্ন। সাকিবেরও বড় স্বপ্ন দলকে নিয়ে। কেকেআরকে জেতাতে যে কোনো ভূমিকা পালন করতে রাজি, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেটা সুনিল নারিনের মতো ওপেনিং হোক কিংবা ফিনিশারের ভূমিকায় অথবা তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র বাঁহাতি স্পিনে।
৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সত্যি করে বলতে আমি যে কোনো কিছু করতে রাজি আছি।’
সর্বশেষ যখন আইপিএল খেলেছেন (২০১৯ সালে) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে, মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল সাকিবের। এবার কেকেআরের হয়েও একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। কেননা তাকে ভাবা হচ্ছে সুনিল নারিনের ব্যাকআপ অপশন।
সাকিব অবশ্য চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন ইতিবাচকভাবেই। তিনি বলেন, ‘প্রতি দলে ৮-১০ করে বিদেশি খেলোয়াড় থাকে, মাত্র চারজন একাদশে খেলতে পারে। দল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আপনি দোষ দিতে পারেন না। আপনাকে মন খোলা রেখে ভাবতে হবে, কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সুযোগ পেলে যেন দুই হাতে লুফে নেয়া যায়।’
সাকিব যোগ করেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী, ছন্দে ফিরতে মাত্র একটি ম্যাচ লাগবে। যদি আমি ভালো শুরু করতে পারি, দলের জন্য ভালো কিছুই করতে পারব।’
গৌতম গম্ভীর-যুগ পার হওয়ার পর টানা দুই মৌসুম কেকেআর ভালো কিছু করতে পারেনি। এবার কি পারবে? সাকিব বেশ আশাবাদী। তার ভাবনাটা বরাবরের মতো অন্যরকম।
সাকিব বলেন, ‘বাইরে থেকে অন্য কিছু মনে হতেই পারে। কিন্তু এই দলটা গত দুই বছরের গুছিয়ে উঠেছে। আমার মনে হয় এই বছর সমর্থকদের প্রত্যাশামত পারফর্ম করতে পারবে কেকেআর। আমি তো খুবই আশাবাদী।’
এমএমআর/জিকেএস