সাকিবকে টপকে যাওয়ার দৌড়ে আছেন তিনজন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের টপ স্কোরার। কিউই আর টাইগারদের একদিনের লড়াইয়ে সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ২২ ম্যাচে ৬৩৯।
শুধু বাংলাদেশি উইলোবাজদের মধ্যেই নয়, পরিসংখ্যান জানাচ্ছে রস টেলরের (২৪ ম্যাচে ১০০৩) পর দু’দেশের মধ্যে সাকিব আল হাসানই রান তোলার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়।
কেন উইলিয়ামাসন (৪২২), মার্টিন গাপটিলের (১২ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি এবং এক অর্ধশতকে ৫৭৩) মত নামী উইলোবাজরাও রান তোলায় সাকিবের পিছনে।
সাকিব এ সিরিজে নেই। সদ্য পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। স্ত্রী শিশিরের পাশে থাকাতে আগেই নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়ে রেখেছেন তিনি।
এখন দেখার বিষয় হলো সাকিবকে টপকে যাবেন কে? বলার অপেক্ষা রাখে না, কিউইদের বিপক্ষে সাকিবকে টপকে যাবার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে অন্য ব্যাটসম্যানদের সামনে। তাও একজন, দু’জন নয়। তিন তিনজনের।
মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- তিনজনই আছেন খুব কাছাকাছি। তিন ম্যাচের সিরিজে আহামরি ভাল খেলার দরকার নেই। গড়পড়তা স্কোর করতে পারলেও সাকিবকে রান তোলায় পিছনে ফেলার সুযোগ আছে এই তিনজনের।
আসুন আগে জেনে নেয়া যাক, মুশফিক, অধিনায়ক তামিম ও অলরাউন্ডার রিয়াদের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কার রান কত? মুশফিকুর রহিমের স্কোর ২৬ ম্যাচে ৫৮১। তার চেয়ে ১৭ রান পিছিয়ে অধিনায়ক তামিম (২৩ ম্যাচে ৫৬৪)। আর রিয়াদ আছেন তামিমের ঠিক পেছনে। তার স্কোর ২১ ইনিংসে ৫৫৭।
মানে এ সিরিজে সাকিবকে টপকে যেতে হলে মুশফিকের চাই মাত্র ৫৯ রান। অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রয়োজন ৭৬। আর রিয়াদকে করতে হবে সব মিলিয়ে ৮২ রান।
এই তিনজনের তালিকায় রিয়াদ তিন নম্বরে থাকলেও ইতিহাস জানাচ্ছে, সাকিব ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি আছে কেবল রিয়াদেরই। তাও একটি নয়। দুটি। সেখানে মুশফিকের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯০, আর অধিনায়ক তামিম ইকবালের আগের সর্বেচ্চ ৬৫।
খুব অস্বাভাবিক রকম খারাপ না খেললে হয়ত তিনজনই সাকিবকে টপকে যেতে পারেন এই সিরিজে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের টপ স্কোরার কে হন?
এআরবি/আইএইচএস/এএসএম