ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

রকিবুলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছা ছিল সুজনের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২১

জাতীয় দল নিউজিল্যান্ডে। আর ৪৮ ঘণ্টা পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে পুরো জাতীয় দলের বহররের ক্রিকেটাররা ইচ্ছে মত চলাফেরা করতে পারবেন, একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারবেন। ১২ দিন পর ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের বিপক্ষে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এমন সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরদের সবার চোখ, মন সবই নিউজিল্যান্ডে।

কিন্তু এর মধ্যেও রোববার বিকেলে একটি খবর ক্রিকেট পাড়ায় সাড়া জাগিয়েছে। রকিবুল হাসান যদিও মুখ ফুটে স্বীকার করছেন না। তার কথা ছিল, ‘আমি কোন উকিল নিয়োগ করিনি। খালেদ মাহমুদ সুজনকে কোন আইনী নোটিশও পাঠাইনি।’

তবে আসল সত্য হলো, মোঃ আবু তালেব নামক এক আইনজীবির মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ সুজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার জাগো নিউজের সাথে আলাপে অ্যাডভোকেট আবু তালেব সেই উকিল নোটিশ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন এবং জাগো নিউজে তার উদ্ধৃতি দিয়ে সে প্রতিবেদন প্রকাশিতও হয়েছে।

এদিকে যাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সেই খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতিক্রিয়া কী? তিনি কি উকিল নোটিশ হাতে পেয়েছেন? নোটিশ পাওয়ার পর তিনি কী ভাবছেন? কিভাবে তার উত্তর দেবেন?

এ কৌতুহলি প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেলে খালেদ মাহমুদ সুজন সে কৌতুহল নিবারণ করেছেন। বলে নেয়া ভাল, খালেদ মাহমুদ সুজনের হাতে সে লিগ্যাল নোটিশ এসে পৌঁছানোর প্রশ্নই আসে না। কারণ তিনি দেশেই নেই।

‘শুনেছি তিনি (রকিবুল হাসান) আমাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনী নোটিশ দিয়েছেন। তবে সেটা আমার হাতে পৌঁছায়নি। কি করে পৌছাবে? আমিতো দেশেই নেই। দেশের বাইরে, ভারতের রায়পুরে সাবেক ক্রিকেটারদের এক টুর্নামেন্ট খেলছি।’

কেন আপনার গুলশানের বাসায়ও কি কোন নোটিশ পৌঁছায়নি? সুজনের জবাব, ‘তাও বলতে পারছি না। আামার বাসায় সেটা ডাক বা কুরিয়ারে গেলেও কারো হাতে পৌঁছানোর কথা নয়। বাসায় কেউ নেই। আমার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে।’

সুজন জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরে নোটিশ পেলে অবশ্যই জবাব দেবেন। ‘আমি দেশে ফিরলেই হয়ত জানতে পারবো। যা হোক এটা বলতে পারি আমাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে, অবশ্যই আইনের ভাষায়তেই জবাব দেব। সমস্যা নেই।’

ভারত থেকে ফোনে জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে খালেদ মাহমুদ সুজন স্বীকার করেছেন, তিনি ভুল করেছেন। তার আচরণটা ঠিক ছিল না। সে জন্য দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছেও পোষণ করেছিলেন।

সুজন বলেন, ‘আমি ভারতের রায়পুরে খেলতে আসার আগেই অনুভব করেছি যে, আমার ভুল হয়েছে। আমার স্যরি বলা উচিৎ। এই ভেবে বোর্ডেও গিয়েছিলাম; কিন্তু রকিবুল ভাইকে পাইনি। তাই স্যরি বলা হয়নি।’

সুজনের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘রকিবুল ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইতেও দ্বিধা নেই। কারণ তিনি আমার অনেক বড়। আমার বড় ভাইয়েরও (সাবেক নামী ক্রিকেটার ইয়াফী) বড়। সম্পর্কে আমার দুলাভাইয়ের ভাল ফ্রেন্ড। সব মিলে অনেক আগে থেকে ভাল চেনা-জানা। বলতে পারেন, পারিবারিকভাবে সু-সম্পর্ক বিরাজমান। বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সিনিয়রদের মধ্যে আমি তাকে অনেক বেশি সম্মান করতাম। তিনি আমাদের সবার অগ্রজ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক বড় নাম। সাবেক অধিনায়ক। আমাদের সবার সম্মান, শ্রদ্ধার পাত্র। সেদিনও ঢাকা থেকে বিমানে পাশাপাশি বসেই কক্সবাজার গিয়েছিলাম। মানছি, আমি হয়ত নিজের আবেগ, উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারিনি। তাই দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া পথও নেই। আমি প্রস্তুত। রকিবুল ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইতেও আমার দ্বিধা নেই।’

এআরবি/আইএইচএস/এমএস