এর বেশি কিছু চাইতে পারি না : চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক
জেমকন গ্রুপের দল খুলনা টাইটানসের হয়ে তিন মৌসুম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শিরোপা জেতা হয়নি একবারও। ২০১৬ সালের বিপিএলে মাহমুদউল্লাহ নিজে জিতেছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার কিন্তু খুলনা বাদ পড়েছিল তৃতীয় হয়ে।
তাই খুলনা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অন্তত একটি হলেও শিরোপা জেতানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যা তিনি পূরণ করলেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মধ্য দিয়ে। শুক্রবার রাতে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা, অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
শিরোপা জেতার পর মাহমুদউল্লাহ সাফ জানিয়েছেন এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার ছিল না তার। শিরোপা জেতার কৃতিত্ব ভাগ করে দিয়েছেন দলের সবার মধ্যে, ‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না। যেভাবে বোলার, ব্যাটসম্যান ও বিশেষ করে ফিল্ডাররা যেভাবে তাদের সব ঢেলে দিয়েছে তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি’
অথচ টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ঠিক ছন্দে ছিল না খুলনা। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে 'এ' ক্যাটাগরির দুই খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানকে দলে নিয়েও প্রথম রাউন্ডে আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টি জিততে পেরেছে তারা। প্লে-অফ রাউন্ডে আর প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ দেয়নি তারা। দাপুটে জয়েই নিশ্চিত করেছে শিরোপা।
তাই তো অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি যেভাবে চাইছিলাম সেভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। খুশি যে আমি অবদান রাখতে পেরেছি। ধন্যবাদ আমার দলকে। বিশেষ করে ম্যাশকে। সে অনেক সাহায্য করেছে। তার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। খুবই খুশি তাকে পেয়ে।’
ফাইনালের ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছি শুরুতে। আমাদের জুটি দরকার ছিল তখন। কমপক্ষে ১৪০-১৫০ রান করতেই হতো। কারণ, উইকেট খুবই ভালো ছিল। দ্রুত উইকেট হারানো সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপের। আমরা যেভাবেই হোক, ১৫০ করতে পেরেছি। আমি মনে করি ফাইনাল ম্যাচে যদি আপনি দ্রুত উইকেট হারান তাহলে রান তাড়া করা সবসময়ই চাপের।’
এসএএস/এমএস