ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্রাম ৪ সপ্তাহের, টেস্টে খেলতে পারবেন অধিনায়ক মুমিনুল?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

আগেই জানা ফ্র্যাকচার হওয়া ডান হাতের বুড়ো আঙুলে সফল অপারশন শেষে আজ রোববার সকালে দেশে ফিরেছেন মুমিনুল হক। টাইগার টেস্ট অধিনায়ককে চিকিৎসক ৪ সপ্তাহের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

রোববার সকালে ঘড়ির কাঁটা ১০টা ছোঁয়ার আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন মুমিনুল। অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে মুমিনুল জানিয়েছেন, ডান হাতের বুড়ো আঙুলে অপারেশনের পর তাকে ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে।

এই ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার কথা বলায় জেগেছে সংশয়। উঠেছে প্রশ্ন, সত্যিই যদি ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়, তাহলে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিতে পারবেন কি? তার পক্ষে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামা সম্ভব হবে?

সম্ভব হবে কি হবে না?- তা বলে দেবে সময়। তবে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এখনই চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হতে নারাজ। যেহেতু চিকিৎসক অপারেশনের পর তাকে ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, তাহলে কি তিনি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন?

এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দেবাশীষ চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, ৪ সপ্তাহ মানে প্রায় এক মাস। এটা এখনই বলা কঠিন। আসলে মুুমিনুল টেস্ট খেলতে পারবেন কি পারবেন না? তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকা মানেই মুমিনুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন না, দেবাশীষ চৌধুরী তা মানতে নারাজ।

তার ভাষ্য, ‘এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া কঠিন। এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর সাধারণ সতর্কতাস্বরুপ ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়। তবে এই বিশ্রাম মানে পুরো বেড রেস্ট নয়। আঙুলের চোটের কারণে শুধুমাত্র ব্যাটিং-বোলিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া বাকি ফিটনেস ট্রেনিং করা যাবে। আমরা আপাতত সপ্তাহ ধরে ধরে পর্যবেক্ষণ করব।’

এখনই টেস্ট সিরিজ থেকে মুমিনুলের সম্ভাবনা শেষ করে দেয়ার পক্ষে তো ননই, বিসিবি প্রধান চিকিৎসক মূলত মুমিনুলকে নিয়ে কোনও বাড়তি দুশ্চিন্তাও মাথায় রাখতে চাইছেন না। তার মতে, দুই সপ্তাহের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে টেস্ট সিরিজে মুমিনুলকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দেবাশীষ।

তিনি বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ পর হয়তো টেস্ট সিরিজের ব্যাপারে কিছু বলা যাবে। তবে তার মানের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ম্যাচ ফিটনেস পেতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাই আমরা আশাবাদী। অবশ্য সে যদি সময়ের মধ্যে না পারে, তাহলে তখন কিছু করার থাকবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমাদের মেনে নিতে হবে।’

এআরবি/এসএএস/এমএস