৬ মাস আগেই স্থগিত ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ওয়ানডে সিরিজ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এখন ইউরোপজুড়ে। করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতা কমাতে বেশ কিছু দেশে এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে করোনার কারণে। যার ফলে ৬ মাস আগেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে দিলো ইংল্যান্ড।
২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ। সিরিজের আয়োজন নেদারল্যান্ডস। কিন্তু করোনার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে এই সিরিজটি না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। বাধ্য হয়ে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসও সিরিজটি স্থগিত করে দিয়েছে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হতো উত্তর নেদারল্যান্ডসের আমস্টলভিনে। ২০২২ সালের মে মাসে সিরিজটি পূনরায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ড আশা করছিল, এই সিরিজে প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটবে এবং নেদারল্যান্ডসের মত দেশে ক্রিকেটের প্রসারে দারুণ ভুমিকা রাখবে। কিন্তু করোনার কারণে, তাদের সেই আশার গুড়ে বালি। কারণ, সিরিজ অনুষ্ঠিত হলেও মাঠে দর্শকের অনুমতি থাকতো না। ২০২২ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হলেও তখন দর্শক সমাগমের বিষয়টি অনিশ্চিতই হয়ে রইলো।
নেদারল্যান্ডস এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসির প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসের অংশগ্রহণ হচ্ছে একমাত্র সহযোগি দেশ হিসেবে। যা ডাচ ক্রিকেটের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যে কারণে ইংল্যান্ডের মত দেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলা দেশটিতে ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দারুণ এক ভুমিকা পালন করবে।’
‘কিন্তু করোনার কারণে ডাচ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে দর্শকদের মাঠে উপস্থিত করানোর ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প ছিল না। যে কারণে ইসিবিও (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) বিষয়টা অনুধাবন করেছে। সুতরাং, দুই দেশের বোর্ড মিলেই সিরিজটাকে এক বছর পিছিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে।’
আইএইচএস/এমএস