আইপিএলে ফিক্সিং : তদন্ত শুরু করলো বিসিসিআই
ফিক্সিংয়ের কালোছায়া আবারও পড়েছে ক্রিকেটে। নিশ্চিতভাবেই মাল্টি বিলিয়ন ডলারের টুর্নামেন্ট আইপিএলে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও নিশ্চিত হয়েছে যে, একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে ফিক্সিংয়ের বিষয়টা জড়িয়ে পড়েছে। এবার তদন্তের কাজও শুরু করে দিলো বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) বা দুর্নীতি দমন সংস্থা।
বিসিসিআই’য়ের আকসুর প্রধান তথা রাজস্থান পুলিশের সাবেক ডিজিপি অজিত সিং জানিয়েছেন, ‘আইপিএলের এক ক্রিকেটারের কাছে সম্প্রতি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আসে এক জুয়াড়ির পক্ষ থেকে। দল জৈব নিরাপত্তা বলয়ে থাকার কারণে প্রস্তাবটি অনলাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের কাছে পৌঁছায় বলে জানা গেছে।’
যদিও ওই ক্রিকেটার ভারতীয় নাকি বিদেশি সে পরিচয় গোপন রেখেছে বিসিসিআই’য়ের দুর্নীতিদমন শাখা। তবে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে কোনোরকম সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিদমন শাখাকে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন ওই ক্রিকেটার।
বিসিসিআই’য়ের দুর্নীতিদমন শাখার পক্ষ থেকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, সে বিষয়টা বিপজ্জনক মনে করেই তৎক্ষণাৎ তিনি দুর্নীতিদমন শাখাকে জানিয়ে দেন। আইপিএলের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ক্রিকেটার, এমনকি অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররাও দুর্নীতিদমন শাখার সমস্ত প্রটোকল সম্পর্কে অবগত।’
সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখা নিজেরা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে যে, জুয়াড়িরা কতটা তৎপর রয়েছে আইপিএলকে ঘিরে। এ কারণে বিসিসিআইর পক্ষ থেকে আইপিএলে খেলা প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছে সতর্ক বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটাররা যেহেতু এবার জৈব নিরাপত্তা বলয়ে মধ্যে রয়েছে, তাই জুয়াড়িরা অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। আইপিএল শুরুর আগে আইসিসি’র পক্ষ থেকে এমন সতর্কবার্তাই দেয়া হয়েছিল। এবার সে সন্দেহই বাস্তবে পরিণত হল।
স্পোর্টসর্যাডার্স গ্লোবাল অপারেশনসে প্রধান টম মেস আগেই জানিয়েছেন, ‘কোম্পানির ফ্রড ডিটেক্টিং সিস্টেম বাজারে এমন ৬০০ বুকমেকার্সকে সনাক্ত করেছে যাদের মধ্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। এই বুকমেকার্সরা ভিন্ন দেশের ভিন্ন অঞ্চলের। এদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে অনেকেরই জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আইএইচএস/এমকেএইচ