অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য করোনাবিধিতে বাড়তি কঠোরতা
সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এ দুই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে ইংল্যান্ডে পৌঁছে গেছে অসিরা। মূল সিরিজ শুরুর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) নিজেদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের দুই দলে ভাগ করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে সফরকারীদের।
কিন্তু বৃষ্টির কারণে আগাস বোলে পৌঁছেও মাঠে নামতে পারছেন না স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্করা। প্রকৃতির কারণে পাওয়া অবসর সময়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন অসিদের বাঁহাতি পেসার স্টার্ক, জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য করোনাবিধির কঠোরতা এক ডিগ্রি বেশি।
করোনাভাইরাস সতর্কতাস্বরুপ পাঁচটি নতুন নিয়মের প্রবর্তন করেছে আইসিসি। যার মধ্যে অন্যতম হলো, করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগে কোনো খেলোয়াড় ক্রিকেট বলে মুখের লালা ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘাম ব্যবহার করা যাবে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের জন্য এ নিয়মেও রয়েছে বাড়তি কঠোরতা। তারা আসন্ন সিরিজে ক্রিকেট বলে মুখ, ঘাড় ও মাথার আশপাশের ঘাম ব্যবহার করতে পারবেন না। নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচেও মানতে হবে এই নিয়ম। বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্কের কাছ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
তিনি বলেছেন, 'এতদিন ইংল্যান্ডে হওয়া সিরিজগুলোতে যেমনটা দেখেছেন, তার চেয়ে বিধিনিষেধের মাত্রা বাড়বে খানিক। ঘাড়, মুখ ও মাথার আশপাশের ঘাম ব্যবহার করা যাবে না এখন এবং লালার ব্যবহার তো নিষিদ্ধই।'
করোনা লকডাউনের পর এখন পর্যন্ত তিনটি সিরিজ হয়েছে ইংল্যান্ডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্ট, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্ট। শুক্রবার থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
এ সিরিজের ম্যাচগুলোতে বোলাররা হরহামেশাই পিঠ ও কপালের ঘাম ব্যবহার করেছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা তাদের অনুশীলন থেকেই বলে ঘাম ব্যবহার না করার চেষ্টা করে চলেছেন। স্টার্ক জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
এছাড়া সাদা বলে ঘাম ব্যবহার না করলেও তেমন সমস্যা হবে না মনে করেন তিনি। স্টার্কের ভাষ্য, 'বোলাররা এখন পিঠের ঘাম ব্যবহার শুরু করবে কি না তাই দেখার বিষয়। কেননা হাতের ঘামও ব্যবহার করা যাবে না। তবে সাদা বলে এর তেমন প্রভাব নেই। কেননা খেলা শুরুর পর সাদা বলটি শুকনো রাখার চেষ্টাই করা হয়।'
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরে ওয়ানডে সিরিজের খেলা শুরু হবে ১১ সেপ্টেম্বর। তার আগে শুক্রবার অ্যারন ফিঞ্চ ও প্যাট কামিনসের নেতৃত্বে নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। স্কোয়াডে ২১ জন খেলোয়াড় থাকায় স্থানীয় ক্লাব থেকে নেয়া হবে ২২তম সদস্য।
ফিঞ্চ একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, জশ ফিলিপ (উইকেটরক্ষক), ড্যানিয়েল স্যামস, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, রিলে মেরেডিথ, নাথান লিয়ন এবং স্থানীয় এক খেলোয়াড়।
কামিনস একাদশ: ম্যাথু ওয়েড, মার্কাস স্টয়নিস, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটরক্ষক), অ্যাশটন অ্যাগার, শন অ্যাবট, প্যাট কামিনস, কেন রিচার্ডসন, অ্যাডাম জাম্পা এবং জশ হ্যাজলউড।
এসএএস/পিআর