দশ নম্বরে নেমে ৬২ বলে সেঞ্চুরি
নর্দাম্পটনশায়ারের লিড ছিল ৭৩ রানের। এত অল্প রানের লিড নিয়ে কোনো দলই সাধারণত ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশা করে না। তবে দলের দুই পেসার জ্যাক হোয়াইট ও ব্লেসিং মুজুরাবানির কল্যাণে এই রানেই ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নর্দাম্পটনশায়ার। মাত্র ৬০ রানেই তারা তুলে নিয়েছিল গ্ল্যামারগনের ৮ উইকেট।
এরপরই শুরু হয় দুই পেসার মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে ও ড্যান ডাউথওয়েটের লড়াই। দশ নম্বরে নেমে মাত্র ৬২ বলে ক্লাবের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ডি ল্যাঙ্গে, আশা জাগিয়েও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ড্যান। তবে দুজন মিলে নবম উইকেটে ক্লাবের রেকর্ড ১৬৮ রানের জুটি গড়েছেন।
বব উইলস ট্রফির চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয়েছিল গ্ল্যামারগন। সেই ইনিংসে দশম উইকেট জুটিতে ক্লাবের রেকর্ড ১২৪ রান যোগ করেন ক্যালাম টেলর (১০৬) ও মাইকেল হোগান (৩৩)। রানের খাতাই খুলতে পারেননি দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে চার্লি থার্স্টনের সেঞ্চুরির (১১৫) সঙ্গে বেন কুরান (৮২) ও রিকার্ডো ভ্যানকালোসের (৫৮) ফিফটিতে ভর করে ৩৩২ রানের সংগ্রহ পায় নর্দাম্পটনশায়ার। মাত্র ১২ রানে শেষের ৪ উইকেট হারানোয় লিডটা ৭৩ রানের বেশি হয়নি। তবে এই ৭৩ রানই আবার মনে হচ্ছিল যথেষ্ঠ।
কেননা মুজুরাবানি ও হোয়াইটের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল গ্ল্যামারগন। আর ১৩ রানের মধ্যে বাকি ২ উইকেট নিতে পারলেই ইনিংস ব্যবধানে জিতত নর্দাম্পটনশায়ার। কিন্তু তা হতে দেননি মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে ও ড্যান ডাউথওয়েট।
পরপর তিন ছক্কা হাঁকিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ড্যান। তার দেখাদেখি এগিয়ে যান ডি ল্যাঙ্গেও। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুজন মিলে গড়েন মাত্র ১১৮ বলে ১৬৮ রানের রেকর্ড নবম উইকেট জুটি। মাত্র ৬২ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডি ল্যাঙ্গে। তাদের জুটি ভাঙে ড্যানের বিদায়ে। আউট হওয়ার আগে ৯২ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৮৬ রান করেন ড্যান।
পরে শেষ ব্যাটসম্যান মাইকেল হোগানের সঙ্গে ৩৩ রান যোগ করেন ডি ল্যাঙ্গে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন দলীয় ২৬১ রানের মাথায়। তার নামের পাশে তখন ৬ চার ও ৯ ছয়ের মারে ৭৮ বলে ১১৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যার সুবাদে বিপর্যয় এড়িয়ে ১৮৮ রানের লিড পায় গ্ল্যামারগন।
তবে হার এড়ানোর উপায় নেই ক্লাবটির সামনে। কেননা শেষদিনে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৭ রান, হাতে আছে ৯টি উইকেট। তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬২ রান।
এসএএস/জেআইএম