একা লড়াই করলেন আজহার, তবুও ফলোঅনে পাকিস্তান
প্রথম ইনিংসেই সফরকারী পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ৮ উইকেটে ৫৮৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পর প্রতিপক্ষ এমনিতেই চাপে পড়ে যাওয়ার কথা। তারওপর, জেমস অ্যান্ডারসনের মত পেসার যদি বল হাতে জ্বলে ওঠেন, তাহলে তো কথাই নেই। সুতরাং, পাকিস্তানের সামনে এখন ইনিংস পরাজয়ের বিশাল শঙ্কা।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৫৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়ে গেলো ২৭৩ রানে। তবুও ফলোঅনে পড়লো পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের চেয়ে প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়লো ৩১০ রান। যদিও তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ইংল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা পাকিস্তানকে ফলোঅন করাবে নাকি নিজেরা ব্যাট করতে নামবে। আজ খেলা শুরু হলেই সেটা বোঝা যাবে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলি একাই লড়াই করলেন। করলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। তার ১৪১ রানের বিশাল ইনিংস সত্ত্বেও ফলোঅন এড়াতে পারলো না পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান অধিনায়ককে আউটই করতে পারলো না ইংল্যান্ডের পেস ব্যাটারি। এন্ডারসন, ব্রড, ওকস- কেউ না। ১৪১ রানে অপরাজিতই থেকে গেলেন আজহার আলি।
৭৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন পাকিস্তান চরম লজ্জার মুখোমুখি তখন, আজহার আলির সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে তুলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১১৩ বল খেলে ৫৩ রান করে আউট হয়েছিলেন রিজওয়ান। তার আগে আজহার আলির সঙ্গে ১৩৮ রানের দারুণ একটি জুটি গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
রিজওয়ান আউট হয়ে যাওয়ার পর আর মূলত পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান বাকি ছিলো না। ইয়াসির শাহ করেন ২০ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাস এবং নাসিম শাহরা শুধু ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফলে ২৭৩ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ২৭২ বল মোকাবেলা করে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আজহার আলি। ৮১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটা ছিল ১৭তম সেঞ্চুরি।
ইংল্যান্ডের হয়ে একাই ৫ উইকটে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। এ নিয়ে টেস্টে ২৯তম বার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এবং এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৫৯৮তম উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন এন্ডারসন।
এর আগে ৫৮৩ রানের জবাব দিকে নেমে প্রথম ২৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ৩০ রানে হারায় ৪ উইকেট। ফাওয়াদ আলম আর আজহার আলি মিলে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ার। কিন্তু ১১ বছর পর টেস্ট দলে ফিরে তেমন সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পারলেন না ফাওয়াদ। আউট হয়ে যান ২১ রান করে।
আইএইচএস/পিআর