তবু বোলারদের দোষ দেখছেন না পাকিস্তানের স্পিন কোচ
পাকিস্তানি বোলারদের ওপর রাজত্ব করছেন জ্যাক ক্রলি আর জস বাটলার। ২০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সফরকারিদের রীতিমত কাঁদিয়ে ছেড়েছেন এই যুগল। সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড প্রথম দিন শেষে তুলেছে ৪ উইকেটে ৩৩২ রান।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ইনিংসটা ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন জ্যাক ক্রলি। সঙ্গে জস বাটলারও সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। এই যুগলের নির্দয় ব্যাটিংয়ে সাউদাম্পটনে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনই দিশাহারা পাকিস্তান। ক্রলি ১৭১ আর বাটলার অপরাজিত আছেন ৮৭ রানে।
সেট এই দুই ব্যাটসম্যানের একজনও যদি দাঁড়িয়ে থাকেন, পাকিস্তানের কপালে দুঃখ আছে। পাহাড়সম সংগ্রহ গড়ার রাস্তাটা যে তৈরি হয়েই আছে। তারপরও দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সিরিজে এই টেস্টটি জিতে সমতায় শেষ করার সুযোগ এখনও আছে বলেই মনে করেন তিনি।
অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না ইংল্যান্ড। ১২৪ রানের মধ্যে তাদের ৪ টপ অর্ডার সাজঘরে ফেরত চলে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর ক্রলি-বাটলারের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে পারেননি পাকিস্তানি বোলাররা। শুধু ওভারের পর ওভার করে গেছেন, কাজের কাজ হয়নি।
তবে মুশতাক তার দলের বোলারদের দোষ দেখছেন না। পাকিস্তানি স্পিন কোচ বরং মনে করছেন, বোলাররা ভালোই করেছে, কন্ডিশনই তাদের পক্ষে ছিল না আসলে।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক বলেন, ‘কাজটা (বোলারদের জন্য) কঠিন ছিল। আবহাওয়া বড় একটা ভূমিকা রেখেছে। ফ্লাট পিচ, এই পিচে টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর বাতাসের কারণে পুরো দিনে বোলারদের জন্য ধারাবাহিকভাবে লাইন-লেহ্ন ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নাসিম (শাহ) এবং শাহীনের (শাহ আফ্রিদি) মতো তরুণ বোলারদের জন্য খুব কঠিন ছিল। তারা টেস্ট ক্রিকেটে নতুন। কিন্তু চেষ্টা করেছে অনেক, সেজন্য তাদের গর্বিত থাকা উচিত।’
দারুণ ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রলি আর বাটলারকেই মূল কৃতিত্বটা দিতে চান মুশতাক। তরুণ বোলাররা চাপের মধ্যে বল করতে করতেই শিখবে, মনে করেন এই স্পিন কোচ। তাদের দোষারুপ না করে বাস্তবতা উপলব্ধির আহ্বান মুশতাকের।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, চাপ কিভাবে সামলাতে হয় আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। যখন প্রতিপক্ষ আপনার তরুণ বোলারদের আক্রমণ করতে থাকবে, তাদের জন্য স্বাভাবিকভাবেই এটা মানিয়ে নেয়া কঠিন। তবে অবশ্যই ক্রলি আর বাটলারকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা খুব ভালো খেলেছে এবং এটা প্রথম দিনের ফ্লাট পিচ ছিল। বাতাস কাজটা আরও কঠিন করে দেয় (বোলারদের)। অজুহাত তুলছি না, তবে এটাই বাস্তবতা।’
ইংল্যান্ডের এখন যে পজিশন, বড় সংগ্রহের আগে আটকে রাখা কঠিন হবে। তবে মুশতাক এখনই দলের বোলারদের থেকে আস্থা হারাতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা করতে হবে তাদের যেন প্রথম সেশনেই ৪০০ রানের ভেতর আউট করে দিতে পারি। তাতে করে আমরা সাড়ে তিনদিনের মতো সময় পাব, বড় সংগ্রহ গড়ার সুযোগ থাকবে। চতুর্থ ইনিংসে কি হবে, কেউই বলতে পারে না। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’
এমএমআর/এমকেএইচ