করোনা আইন ভঙ্গ করেই কপাল পুড়ল আর্চারের!
সাউদাম্পটনে প্রথম টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডকে কেন বাদ দেয়া হলো, কেন আর্চারকে দলে নেয়া হলো- এসব নিয়ে তুমুল আলোচনা ছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাঙ্গনে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে পরাজিত হওয়ার কারণে সমালোচনার পালে বাতাসটা বেশ জোরেশোরেই লেগেছিল।
তবুও ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। জানিয়ে দিয়েছিল, আর্চারের ওপরই তাদের আস্থা রয়েছে। সে হিসেবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আর্চার খেলবেন, এটা ছিল একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ ১৩ জনের যে স্কোয়াড আগের দিন সন্ধ্যায় ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা করেছিল, সেখানেও ছিল আর্চারের নাম।
কিন্তু আজ বিকেল ৪টায় যেখানে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা, তার ঠিক তিন ঘণ্টা আগে দল থেকে বাদ দেয়া হলো আর্চারকে। কেন? কী কারণে তাকে বাদ দেয়া হলো? সেই সমালোচনার প্রভাব?
মূলত সেসব কিছুই না। করোনা আইন ভঙ্গ করেই কপাল পোড়ে ইংল্যান্ডের ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত পেসার আর্চারের। খেলোয়াড়দের জন্য যে বায়ো-সিকিউর প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে, সেটা ভঙ্গ করে বাইরে গিয়েছিলেন আর্চার। যা তার নিজের তো বটেই, পুরো দলের জন্যই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ।
এ কারণেই মূলত খেলা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে দল থেকে বাদ দেয়া হয় তাকে। এখন তাকে থাকতে হবে পাঁচদিনের কঠোর আইসোলেশনে। এ সময়ের মধ্যে দুইবার করোনা টেস্ট করানো হবে। দুইবারই ফল নেগেটিভ এলেই কেবল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলার অনুমতি পাবেন তিনি।
এ জন্য অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আর্চার। ইসিবির দেয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি যা করেছি তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। শুধু নিজেকে নয়, পুরো দল এবং টিম ম্যানেজমেন্টকেও বিপদে ফেলে দিয়েছি। আমার এই কাজের জন্য সকল শাস্তি ও পদক্ষেপ মেনে নিচ্ছি আমি। বায়ো-সিকিউর প্রটোকলে থাকা সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। সিরিজের এ অবস্থায় বাদ পড়ার কষ্ট অনেক বেশি। আমার মনে হচ্ছে, দুই দলকেই বিপদে ফেলেছি। আবারও ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’
আর্চারকে বাদ দেয়ায় এখন দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডের স্কোয়াড হয়ে গেল ১২ জনের। তার বদলে কাউকে নেয়ার কথাও জানায়নি ইসিবি। ফলে করোনা সাব কিংবা কনকাশন সাবের প্রয়োজন পড়লে তখন বেশ ঝামেলায়ই পড়তে হবে তাদের।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য পরিবর্তিত ইংল্যান্ড দল
জো রুট (অধিনায়ক), ডমিনিক বেস, স্টুয়ার্ট ব্রড, ররি বার্নস, জস বাটলার, জ্যাক ক্রাওলি, স্যাম কারান, অলি পোপ, অলি রবিনসন, ডম সিবলি, বেন স্টোকস এবং ক্রিস ওকস।
আইএইচএস/এমকেএইচ