শনিবার থেকে শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে পারবেন ক্রিকেটাররা
ঢাকায় অবস্থানরত ক্রিকেটারদের ভেতরে শুধু মুশফিকুর রহীম এরই মধ্যে বাসার বাইরে গিয়ে বেরাইদের ফর্টিজ ফুটবল একাডেমি মাঠে রানিং ও নক করেছেন। এছাড়া তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আফিফ হোসেন ধ্রুবসহ আরও কয়েকজন জাতীয় ক্রিকেটার রাজধানীতে নিজের ফ্ল্যাটে ফিজিক্যাল ট্রেনিং ও জিম করছেন।
তবে রাজধানীর বাইরে থাকা সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ আর কয়েকজন ক্রিকেটার নিজ উদ্যোগে বাড়ির কাছের কোন মাঠ কিংবা খালি জায়গায় ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছিলেন। এখন তারা ইচ্ছে করলে দেশের আটটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুতে ঐ ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন করতে পারবেন।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আগের দিন মঙ্গলবারই জাগো নিউজকে তা নিশ্চিত করেছিলেন। আজ (বুধবার) বিকেলে সে প্রসঙ্গটি আরও খোলাসা করেছেন ডাঃ দেবাশীষ। তিনি জানান, আগামী শনিবার থেকে ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামসহ দেশের বিভাগীয় পর্যায়ের আটটি স্টেডিয়াম প্র্যাকটিস করার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মানে শনিবার থেকে ক্রিকেটাররা চাইলে সেই স্টেডিয়ামে এসে অনুশীলন করতে পারবেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, অনুশীলন হবে নিজ নিজ উদ্যোগে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই কেবল সে অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন। তবে সেটা দলের রুটিন প্র্যাকটিস নয়। প্রতিটি ক্রিকেটারের ইচ্ছেমাফিক।
তারপরও এখন করোনার ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং যতটা সম্ভব কম ঝুঁকি নিয়ে যাতে ক্রিকেটাররা নির্বিঘ্নে অনুশীলন করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখছে বিসিবি। দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দু'দিন আগে মেইলে ক্রিকেটারদের জানিয়ে দিয়েছি, যারা যারা আগ্রহী তাদের নাম জমা দিতে। আমরা শুক্রবারের মধ্যে নাম পেয়ে গেলেই বুঝতে পারবো যে কত জন ঐ নিজ নিজ অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন।’
দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, যে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন হলেও তার সময়সূচি এবং ধরন কি হবে, সেটা বোর্ড থেকেই ঠিক করে দেয়া হবে। দেবাশীষের কথা, ‘সংখ্যায় বেশি বা কম যতজনই হোন না কেন, দল বেঁধে কোনো অনুশীলন হবে না। সবাই যাতে একসাথে অনুশীলনে না আসেন, একটা গ্যাদারিং না হয়, তাই রোস্টার করে দেয়া হবে। সেই কারণেই আমরা নাম চাচ্ছি। নাম পেলেই জানা যাবে অনুশীলনে উৎসাহী সংখ্যা আসলে কত। তখন তাদের সময় ভাগ করে দেয়া হবে।’
বিসিবি প্রধান চিকিৎসকের শেষ কথা, ‘এখন সময়সূচি আমরা নির্ধারন করে দেব। পাশাপাশি কি কি প্র্যাকটিস করা যাবে, তাও ক্রিকেট অপারেশন্স থেকেই ঠিক করে দেয়া হবে। আমাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আগামী শনিবার থেকে ক্রিকেটারদের যে ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন শুরু হবে, সেখানে শুধু খোলা মাঠে ফিজিক্যাল ট্রেনিং আর শেরে বাংলার জিমে গিয়ে জিমওয়ার্ক করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। মোদ্দা কথা, এটা শুধুই ফিটনেস টেনিং। স্কিল ট্রেনিং কবে কখন শুরু হবে, তা পরে জানিয়ে দেয়া হবে। সেটা আসলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরে। আশা করছি, ঈদের ছুটির পরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে হয়তো সেটা শুরু করা যাবে।’
এমএমআর/পিআর