সুস্থ আছেন নাফিস ও তার মা, আজ আবার পরীক্ষা
হঠাৎই করোনার সংক্রমণের শিকার হন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। তিনি একা নন, মা নুসরাত ইকবাল খানেরও একইসঙ্গে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে স্বস্তির খবর হলো, তেমন কোন বড় ধরনের জটিলতা দেখা দেয়নি তাদের কারোই।
গত সপ্তাহ থেকেই আসলে শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করেছিল জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের। পাশাপাশি তার ও জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের মা নুসরাত ইকবাল খানও ধীরে ধীরে সুস্থ হবার পথেই ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার জাগো নিউজের পাঠকরা জেনে গিয়েছেন ধীরে ধীরে আরোগ্যর পথে নাফিস ইকবাল ও তার মা নুসরাত ইকবাল খান। শেষ খবর, তাদের অবস্থার আরও উন্নতি ঘটেছে এবং আশা করা হচ্ছে তারা করোনা সংক্রমণের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পথে।
নাফিস ইকবালের কণ্ঠে সেই আশার কথা, ‘দোয়া করবেন। আজ আম্মু, আমিসহ সবার করোনা টেস্ট করাব।’ মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় দলের এ সাবেক ওপেনার।
প্রসঙ্গত, নাফিসের ছোট ভাই তামিম ইকবাল ঢাকার বাসায় বিসিবি ট্রেনার ও ফিজিওর পরামর্শ মেনে ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আর্থিকভাবে দূর্বল মানুষকে অকাতরে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
ক্রিকেটার, কোচ, বল বয়, ম্যাসাজ ম্যান থেকে শুরু করে ফুটবলার, সাতারু, অ্যাথলেট এবং সমাজের নানা পেশার ও শ্রমজীবি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। ছোট ভাইয়ের সেই আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা নিজ শহর চট্টগ্রামের ক্রিকেট কোচ অন্যান্যদের মাঝে বন্টনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন বড় ভাই নাফিস।
আক্রান্ত হওয়ার অল্প কদিন আগে বন্দর নগরীর ক্রিকেট কোচদের অর্থ সাহায্য অনুষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়কারীই ছিলেন নাফিস। সে সব কাজ করতে গিয়েই কাজীর দেউড়ির বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে নাফিসকে। ধারনা করা হয়, সেখাস থেকেই করোনা সংক্রমণ ঘটেছে তার। তার কাছ থেকে তার মাও হন করোনা পজিটিভ।
প্রায় দু সপ্তাহ কাজীর দেউড়ির বাসায়ই আইসোলেশনে ছিলেন নাফিস ইকবাল ও তার মা। এখন তারা সবাই মোটামুটি সুস্থ। নাফিস জানিয়েছেন, এখন আর তেমন কোন সমস্যা নেই। তারা এখন সবাই অনেকটাই সুস্থ এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় কোন সমস্যা নেই।
আজ (মঙ্গলবার) আবার করোনা টেস্ট করানো হবে। এখন টেস্ট নেগেটিভ আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলবে করোনা মুক্তির সার্টিফিকেট। নাফিস ইকবাল তাই তার মাসহ পরিবারের করোনা আক্রান্ত সবার সুস্থ্যতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এআরবি/এসএএস/পিআর