ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

অবশেষে বিশ্বকাপের ২ কোটি টাকা পাচ্ছেন তামিম-মুশফিকরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ২৯ মে ২০২০

২০১৯ বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় ১১ মাস হতে চলল। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে পাওনা টাকা বুঝে পাচ্ছিলেন না তামিম-মুশফিকরা। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) মধ্যস্থতায় প্রায় ২ কোটি টাকা পাওয়ার রাস্তা তৈরি হলো বিশ্বকাপ দলের ক্রিকেটারদের।

গত বছরের ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয় বাংলাদেশের। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। ওই আসরে প্রতি ম্যাচ জয়ের জন্য ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছিল। সে হিসেবে তিন জয়ে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) এমনিতেই পেতেন তামিম-সাকিব-মুশফিকরা।

তবে ঝামেলা বেঁধেছিল প্রাইজমানি নিয়ে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য আইসিসির থেকে একটা প্রাইজমানি বরাদ্দ থাকে। সেই টাকাটা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এই টাকার ভাগ খেলোয়াড়রা পাবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয়ে ছিল বিসিবি। তাই আটকে ছিল তামিম-মুশফিকদের পাওনা।

এই জায়গাটাতেই মধ্যস্থতা করেছে কোয়াব। তারা বিসিবিকে বুঝিয়েছে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকা'র (ফেডারেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন) সর্বশেষ চুক্তির বিষয়টি। আইসিসি এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত সর্বশেষ এমপিএ চুক্তি অনুযায়ী খেলোয়াড়রাও প্রাইজমানির ভাগ পাবেন।

বোর্ডের অ্যাকাউন্টে টাকা আসার ১৪ দিনের মধ্যে খেলোয়াড়দের ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার কথা আছে এমপিএ চুক্তিতে। কিন্তু বিসিবি সেই উদ্যোগ নেয়নি। শেষ পর্যন্ত কোয়াবের মধ্যস্থতায় প্রাইজমানি দিতে রাজি হয়েছে তারা। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্যরা পাচ্ছেন প্রায় ২ কোটি টাকা।

কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘ম্যাচ জয়ের টাকাটা তারা পেতেনেই। শুরুতে দ্বিধা ছিল প্রাইজমানির টাকাটা খেলোয়াড়দের আসলে প্রাপ্য কি না। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় সেই দ্বিধা কেটে গেছে। এখন তারা প্রাইজমানির অর্থও পাচ্ছেন।’

কোয়াব সভাপতি যোগ করেন, ‘ঈদের আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এখন যত তাড়াতাড়ি বিসিবি অফিস খুলবে, খেলোয়াড়দের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।’

এমএমআর/পিআর