১৭ দিন পর বাসায় করোনামুক্ত ক্রিকেটার-কোচ আশিক
মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস ও আস্থাটা প্রথম থেকেই ছিল প্রবল। বারবার বলেছেন, ‘আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ করে দেন। আমি সুস্থ হলে মানুষের সেবা করতে চাই। অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
স্রষ্টার প্রতি এই অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার মূল্য পেলেন আশিকুর রহমান মজুমদার। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে কাটিয়ে অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এ সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ। আজ (শুক্রবার) বেলা ১২টায় মুগদা হাসপাতালে থেকে ছুটি মিলেছে আশিকের।
জাগো নিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে আশিক এ খবর জানিয়ে বলেন, ‘গত কয়েকদিনে দুইটি টেস্ট করানো হয়েছে। দুটিই নেগেটিভ এসেছে।’
করোনামুক্ত আশিক সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার দয়া ও কৃপায় সুস্থ হয়ে উঠেছি। এখন আর তেমন সমস্যা নেই। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নেই। তবে কাশিটা পুরোপুরি সাড়েনি। আছে এখনও। এর বাইরে অন্য কোন সমস্যা নেই।’
আশিক আরও জানান, চিকিৎসকরা তাকে কাশির জন্য বুকের এমআরআই করাতে বলেছেন। সেটা মুগদা হাসপাতালে নয়, বাইরে ভাল কোন ল্যাব থেকে করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আশিক।
গত ১২ মে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন আশিক। তার চিকিৎসায় বিসিবি এবং ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার্স এসোসিয়েশন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
শুরুতে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ধীরে ধীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট মুক্ত হয়েছেন আশিক। তবে কাশিটা এখনও পুরোপুরি সাড়েনি। আজ ১৮ দিনের মাথায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত জাতীয় যুব (অনূর্ধ-১৯) দলের হয়ে ২০০২ সালের যুব বিশ্বকাপ খেলা আশিক ছিলেন সম্ভাবনাময় পেসার। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে চলতি শতাব্দীর প্রথম দিকে কয়েকবছর বেশ সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। পরে পিঠের ব্যথার কারণে একটু আগেই খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে নাম লেখান। প্রাইম ব্যাংকের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন অন্তত ৫-৬ বছর ধরে। মাঝে প্রায় দুই বছর বাংলাদেশ নারী দলের সহকারী কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন আশিক।
এআরবি/এসএএস/এমএস