মাশরাফির চোখে ক্রিকেটার না হলে কী হতেন তামিম?
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের যেকোন বিদেশ সফরে মাঠে বাইরের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সাধারণত ব্যবস্থা করে থাকেন ওপেনার তামিম ইকবাল। যেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা টিম হোটেলের বাইরে খেতে যাওয়া- এসব বিষয়গুলো বাকি সবাইকে নির্ভার রেখে ব্যবস্থা করে ফেলেন তামিম।
কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই বাড়িয়ে বাড়িয়ে অনেক কিছু বলে থাকেন তিনি। যা কি না আকৃষ্ট করে দলের বাকি সবাইকে। পরে দেখা যায় তামিমের কথার সঙ্গে কাজের মিল কম। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় সবাইকে। আর এ কারণে মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন, ক্রিকেটার না হলে (বাড়িয়ে কথা বলার কারণে) চাপাবাজ হতে পারতেন তামিম।
পরে অবশ্য এমনটা বলার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মাশরাফি। বুধবার রাতে নটআউট নোমানের লাইভে তাকে পাঁচজন ক্রিকেটারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়, তারা ক্রিকেটার না হলে কী হতেন? সবার আগেই আসে তামিমের নাম। মাশরাফির এক শব্দে উত্তর, ‘চাপাবাজ।’
কয়েক মিনিট পরে মাশরাফি নিজেই ব্যাখ্যা দেন এমনটা বলার। তিনি বলেন, ‘তামিমের ব্যাপারে যেটা (চাপাবাজ) বলছিলাম, পরিষ্কার করি। তামিমকে চাপাবাজ বলছি এই অর্থে যে, ও তো আমাদের খাবার খেতে নিয়ে যায়। অনেক চাপা-টাপা মেরে খাবার খেতে নিয়ে যায়। কিন্তু ওর খাবার বাছাই এত খারাপ! একদিন সকালে সবার একসঙ্গে পেটে সমস্যা হয়েছিল। চল্লিশ পদের ভেজিটেবল খাইতে নিয়ে গেছিল।’
তবে এমন না যে এতে করে সকলের শিক্ষা হয়। বরং পরদিন সেই তামিমের দ্বারস্থই হন সবাই, ‘তবু আমরা নিয়মিত ওর ফাঁদে পড়ি। প্রতিদিনই ওরে বলা হয়, খাবার খাইতে নিয়ে চল। ও ভাবে যে অনেক ভালো খাবার। আর এরকম অনেক রেকর্ড আছে যে, ছেলেপেলেদের অনেক ডলার চলে গেছে (তামিমের বাছাই করা) খুব দারুণ খাবার খেতে গিয়ে।’
এসময় মাশরাফিকে একই কথা জিজ্ঞেস করা হয় সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাপারেও। উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাকিব ঘরের রাগী কর্তা, লিটন ঘরের সবচেয়ে চুপচাপ ছেলে এবং তাসকিন নায়ক হতে পারতো। আর আশরাফুলের জন্মই হয়েছে ক্রিকেট খেলার জন্য।’
এসএএস/জেআইএম