এবার আফ্রিদির বিরুদ্ধে লেগেছেন যুবরাজ-রায়নাও
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ কতটা প্রবল, তা কাম্মীর এবং পাকিস্তান ইস্যুতে বারবারই প্রমাণ হয়ে যায়। এবার আরও একবার নিজেদের সেই কট্টর জাতীতাবাদের প্রমাণ দিচ্ছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বুমবুম অলরাউন্ডারখ্যাত শহিদ আফ্রিদি। সেই বক্তব্যের জের ধরেই পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ককে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা।
প্রথমে আফ্রিদির কঠোর সমালোচনা করেন গৌতম গম্ভির। আফ্রিদিকে ১৬ বছরের বালক আখ্যা দিয়ে একই সঙ্গে ইমরান খানকেও জোকার বলতে ছাড়েননি গম্ভির। এরপর আফ্রিদিকে একহাত নিতে ছাড়লেন না ভারতের বর্তমান ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো পৃথিবী যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন তোমার কি না কাশ্মীর নিয়ে চিন্তা। কাশ্মীর আমাদের (ভারত) ছিল, আমাদের আছে এবং আমাদেরই থাকবে। তুমি চাইলে ২২ কোটি নিয়ে আসো। আমাদের একজনই সোয়া লাখের সমান। বাকি হিসেব নিজেই করে নিও।’
এবার আফ্রিদির বিরুদ্ধে লেগেছেন যুবরাজ সিং এবং সুরেশ রায়না। আফ্রিদির বক্তব্যের পরে স্থির থাকতে পারেননি যুবরাজ। তিনি টুইট করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করা খুবই দুঃখজনক। দেশের এক জন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এই মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।’
আফ্রিদিকে আক্রমণ করে রায়না বলেছেন, ‘নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য একটা লোক কি না কি করতে পারে? তোমার ব্যর্থ দেশের জন্য কিছু করো। আর কাশ্মীরকে ছেড়ে দাও। কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে যেও না। আমি একজন গর্বিত কাশ্মীরী। কাশ্মীর চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই থাকবে। জয় হিন্দ।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাকিস্তানও। সেখানকার দুঃস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আফ্রিদির চ্যারিটি ফাউন্ডেশন। যুবরাজ এবং হরভজন সিং সাবেক পাক অলরাউন্ডারের চ্যারিটি ফাউন্ডেশনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন; কিন্তু মোদিকে নিয়ে আফ্রিদির মন্তব্যের পর হরভজন এবং যুবরাজ সাবেক পাক অধিনায়কের চ্যারিটি কাজে আর সাহায্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কি বলেছিলেন আফ্রিদি? সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে আফ্রিদির কিছু মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘বিশ্ব এখন প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে মোদি মনেপ্রাণে এর চেয়েও বিপদজনক। মোদি কাশ্মীরে সাত লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছেন। যা পাকিস্তানের মোট সেনা সংখ্যার সমান।’
আইএইচএস/