ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সৌম্য নিজেই জানেন না কোন ব্যাংক ব্যাট কিনেছে!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ০৪ মে ২০২০

আগের দিন ঘটা করে নিলাম হলো। অনলাইনে বন্ধুপ্রতিম সৌম্য সরকার আর তাসকিন আহমেদের প্রাণখোলা কথোপকথন দেখে ভক্ত-সমর্থকরাও উদ্বেলিত।

রীতিমত উৎসবমুখর পরিবেশে হওয়া নিলাম শেষে জানিয়ে দেয়া হলো, বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংক সৌম্য সরকারের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরির (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম শতক) ব্যাট আর পেসার তাসকিন আহমেদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় করা হ্যাটট্রিক বলটি নিলামে কিনে নিয়েছে। সৌম্যর ব্যাটের মূল্য উঠেছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর তাসকিনের বলের ৪ লাখ।

নিলাম পরিচালনাকারী সংস্থা ‌‌‘অকশন ফর অ্যাকশন’ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আজ (সোমবার) দুপুরের ভেতর জানিয়ে দেয়া হবে কোন প্রাইভেট ব্যাংক ওই ব্যাট ও বল নিলামে কিনে নিয়েছে।

কিন্তু আজ রাত ১০টা পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, কোন ব্যাংক ওই দুই স্মারক ব্যাট ও বল নিলামে কিনে নিয়েছে। আজ দুপুরে ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ থেকে শুধু একবার জানানো হয়েছিল যে, এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। কিন্তু তারপর বিকেল থেকে আর ফোনে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

সেটাই শেষ কথা নয়। সবচেয়ে বড় খবর হলো, খোদ সৌম্য সরকার নিজেও এখন পর্যন্ত জানেন না যে ব্যাট কোন ব্যাংক কিনে নিয়েছে। আজ সোমবার রাত ১০টা নাগাদ জাগো নিউজের সাথে আলাপে সৌম্য খানিক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কোন ব্যাংক আমার ব্যাট নিলামে কিনেছে, শুনেছি একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কথা; কিন্তু সেই ব্যাংকের নাম কি, তা আমাকেও জানানো হয়নি।’

সৌম্যর বিনয়ী উচ্চারণ, ‘আসলে আমিও অপেক্ষায় আছি ব্যাংকের নাম জানার জন্য। কিন্তু যেহেতু বলা হয়েছে, নিলামে একটি ব্যাংক কিনে নিয়েছে এবং আমাকে জানানো হবে কোন ব্যাংক, তাই এখন আমি তাদের (অকশন ফর অ্যাকশন) অপেক্ষায় আছি। আমি বিশ্বাস করি যেহেতু তারা বিষয়টি সমন্বয় করেছেন, তাই তারাই সব ঠিক করে আমাকে জানাবেন।’

কিন্তু তাই বলে এত দেরি? সৌম্যর শেষ কথা, ‘হ্যাঁ, কেন এত দেরি হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। আমাকে তো বলা হয়েছিল আজ দুপুরের পরপরই জানানো হবে।’

সৌম্য আর কিছু বলেননি। তাহলে যে ব্যাংক কিনে নিয়েছিল, তারা আবার কোন কারণে পিছিয়ে যায়নি তো? আর সে কারণেই কি ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ কর্তারাও বিপাকে পড়ে মিডিয়ার ফোন ধরা থেকে বিরত?

এআরবি/এমএমআর/আইএইচএস/