রমজানে কোন ক্রিকেট নয়, সম্পূর্ণ বেতন পাবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। করোনাভাইরাসের কারণে থমকে যাওয়া ক্রিকেটটা শুরুর জন্য, রমজান মাসকেই বেছে নিতে চাইছে পাকিস্তানের ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, রমজান মাসে কোন ক্রিকেট হবে না।
শুধু তাই নয়, করোনার কারণে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে বেশিরভাগ বোর্ডই যখন খেলোয়াড়দের বেতন কাটার কথা ভাবছে, পিসিবি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তারা খেলোয়াড়দের নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, বর্তমান চুক্তিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সম্পূর্ণ বেতনই দেয়া হবে।
এ বিষয়ে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠকদের কাছ থেকে আমরা রমজান মাসে ক্রিকেট খেলার অনুমতি চেয়ে অনুরোধ পেয়েছি। তবে আমরা মনে করি, এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের পলিসি মেনে চলার। যা হচ্ছে, সমাজে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার আগে কোনো ক্রিকেট হবে না। এই প্রেক্ষাপটেই পিসিবি রমজান মাসে ক্রিকেট খেলার কোন অনুমতি দেবে না।’
তারা আরও জানিয়েছে, ‘বর্তমান সময়টা সারাবিশ্বের জন্যই অনেক কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। খেলাধুলার সবকিছু থমকে গেছে। কারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সবার আগে। সতর্কতামূলক নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য সংগঠক এবং ক্রিকেটারদেরকে অনুরোধ করছে পিসিবি। সবধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।’
একইসঙ্গে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সাফ পরিষ্কার করে দিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠিন সময়ের উদ্ভব ঘটলেও বোর্ডের বেতনভুক্ত খেলোয়াড়রা সম্পূর্ণ বেতনই পাবেন। কারও বেতনের কোন অংশ কাটা হবে না। কেন্দ্রীয় চুক্তিসহ পিসিবিতে মোট ২২০ জন বেতনভুক্ত খেলোয়াড় রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সকল ক্রিকেটার ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ভালোমন্দ দেখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই নেয় পিসিবি। কর্মচারী বাদ দিয়ে ২২০ জনের মতো ক্রিকেটার রয়েছে বোর্ডের বেতনের আওতাভুক্ত। বোর্ড এটি নিশ্চিত করবে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পুরো বেতনই যেন পায় খেলোয়াড়রা। এছাড়াও আমরা কোন বিলম্ব ছাড়াই বেতন দেয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
আপাতত বেতন কাটার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না এলেও, আগামীর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের পলিসিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে পিসিবি। তারা বলেছে, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পিসিবি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পলিসিতে সংশোধন আনার কথা ভাবা হবে।’
এসএএস/পিআর