ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ম্যাক্সওয়েল চেয়েছিলেন তার হাত ভেঙে যাক

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২০

মানসিক অবসাদের কারণে গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছায় বিরতি নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সেটি কাটিয়ে তিনি আবার ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়া দলে। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে খেলেছেন বিধ্বংসী ইনিংস।

তবে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার সময়টা মোটেও সহজ ছিলো না ম্যাক্সওয়েলের জন্য। তার মানসিক অবস্থা এতোটাই বিপর্যস্ত ছিল যে, নিজেই চেয়েছিলেন যেনো তারা হাত ভেঙে যায়। কেননা এমনটা হলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারতেন তিনি।

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় থেকেই ক্রিকেট থেকে বিরতি খুঁজছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একদিন অনুশীলনে হাতে বাউন্সারের আঘাত পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং শন মার্শ। ম্যাক্সওয়েলের তাতে কিছু হয়নি, তবে হাত ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন মার্শ।

কিন্তু ম্যাক্সওয়েল চেয়েছিলেন, মার্শের জায়গায় তার হাত ভাঙলেই বেশি ভালো হতো। মানসিক দুরাবস্থা নিয়ে পুরো বিশ্বকাপের ১০টি ম্যাচই খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু করতে পারেননি সন্তোষজনক পারফরম্যান্স, ১০ ম্যাচে তার রান ছিল সাকুল্যে ১৭৭। যা আরও বেশি বিপর্যস্ত করে ম্যাক্সওয়েলকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেছেন, ‘মার্শকে আসতে দেখেই বুঝেছিলাম, সে হয়তো আর খেলতে পারবে না। তার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছিল। আমি তখন আশা করছিলাম যেন মার্শ ঠিক হয়ে যায় এবং তার বদলে আমার হাতটা ভেঙে যাক।’

এমন ভাবনার পেছনের কারণ বোঝাতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘আমি তখন শুধু ভাবতাম যে, আমার একটা বিরতি দরকার। আমি তখন শুধু ভাবতাম, যে করেই সবকিছু আবার ফিরে পেতে হবে। আমি শুধু শুধু অন্যদের ওপর রাগ করতাম, যেটার কোনো ভিত্তিই ছিলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে না পারায় নিজের প্রতি রাগ আরও বেড়ে গিয়েছিল। আমি তখন ভাবতাম ধীরে ধীরে দল থেকে বাদ পড়ার চেয়ে পালিয়ে যাওয়াটাই সহজ।’

এই অবস্থা যখন আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করে, তখন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কাছ থেকে চেয়ে বিরতি নিয়ে নেন ম্যাক্সওয়েল। তবে এখন ফিরেছেন আবার পুরনো রুপে। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে খেলেছেন ২৮ বলে ৬২ রানের টর্ণেডো ইনিংস। এরপর বিগ ব্যাশে তার নেতৃত্বেই রানার্সআপ হয়েছে মেলবোর্ন স্টারস।

এসএএস/জেআইএম