প্রয়োজনে কলকাতার স্টেডিয়াম হয়ে যাবে মেডিকেল সেন্টার
মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতাস্বরুপ আগামী ২১ দিনের জন্য লকডাউন করে দেয়া হয়েছে গোটা ভারত। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটার- সবাই মিলে সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন এ ২১ দিন ঘরের মধ্যেই থাকার জন্য।
এর বাইরে সরকার-প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে সবধরনের প্রস্তুতি। যাতে করে করোনা সারাদেশে বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়লেও, এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় ঠিকভাবে। আর সেলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দারুণ এক প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
সাবেক ক্রিকেটার বা অধিনায়ক ছাড়াও গাঙ্গুলির বর্তমান পরিচয় তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। এই পরিচয় তথা ক্ষমতার ব্যবহার করেই তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলে করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনস। এর ইনডোর এবং খেলোয়াড়দের ডর্মিটরির সুবিধা অসাধারণ। এখন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগুলোকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে, স্বাগ্রহে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এটি দেবেন বলে জানিয়েছেন গাঙ্গুলি।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘যদি সরকার আমাদের কাছে চায় (ইডেন গার্ডেনসকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার), তাহলে আমরা অবশ্যই এটি দিয়ে দেবো। এই মুহূর্তে যা যা দরকার, আমরা সব করতে রাজি আছি। এটা কোনো সমস্যাই নয়।’
এর আগে এক ভিডিওবার্তায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানান পরামর্শ দিয়েছেন গাঙ্গুলি। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বের সবার উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, বর্তমান সময়টা কঠিন এক পরীক্ষার সময়। তবে আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক সরকার, স্বাস্থ্যসংস্থার নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। তারা যেমনটা বলছে, ঘরে থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইসোলেশন অনেক বেশি জরুরি। নিরাপদ থাকুক, সুস্থ্য থাকুন।’
আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, সচেতন হন, কোনোকিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। ভাববেন না যে, আপনি করোনায় আক্রান্ত হবেন না। কারণ এটা যখন আসবে তখন আপনার কোথাও যাওয়ার উপায় থাকবে না।’
এসময় করোনা রুখতে একমাত্র সমাধানের কথা জানিয়ে গাঙ্গুলি আরও বলেন, ‘আইসোলেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং গৃহবন্দি অবস্থায়ই থাকুন। আমি জানি এটা খুবই কঠিন, মোটেও সহজ নয়। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটাই একমাত্র সমাধান। কারণ কেউ জানে না, এটা কীভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং কেউই জানে না এটা চিকিৎসা কী! তাই সচেতন হন, ঘরের ভেতরেই থাকুন। ভালো দিন আসবে, আমরা লড়াই করে যাব।’
এসএএস/পিআর