দুই তরুণ ক্রিকেটারসহ কোয়ারেন্টাইনে বিসিবি চিকিৎসক
গত কয়েকদিনে খবরের শিরোনামে প্রায় নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে, 'বিদেশ থেকে ফিরে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাসী', 'হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে রাজি নন প্রবাসীরা'- কিংবা এ জাতীয় সব খবর। যে কারণে প্রবাসীদের দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে জরিমানার বিধান পর্যন্ত করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সকলের জন্য দারুণ এক দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। সরকারের নির্দেশ মেনে নিজে তো কোয়ারেন্টাইনে থাকছেনই, সঙ্গে নিয়েছেন বিদেশ থেকে ফেরা দুই তরুণ ক্রিকেটার সাদমান ইসলাম অনিক ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণকেও।
কবজির চোটের কারণে বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ও কাঁধের ইনজুরি সারাতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার মৃত্যুঞ্জয়কে চলতি মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিল বিসিবি। এ দুজনের সঙ্গে যান বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীও। সফল সার্জারি শেষে তারা দেশে ফিরেছেন ১৮ মার্চ।
পরে অবাধে ঘোরাফেরা না করে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনজনই এখন রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এ তথ্য জানিয়েছেন খোদ বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। একইসঙ্গে সকলকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় এক দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেবাশিষ বলেন, ‘আমরা দুদিন হলো অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছি। আমার সঙ্গে অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরেছে (সাদমান ইসলাম) অনিক ও মৃত্যুঞ্জয় (চৌধুরী নিপুণ)। আমরা তিনজনই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। সরকারের নির্দেশ এটি, আমাদের মানতেই হবে। আমরা যদি না মানি অন্যদের জন্য এটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
বিসিবি চিকিৎসক মনে করেন দেশের মানুষদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদেশ ফেরত সবারই এটা মেনে চলা উচিত, ‘এটা বিদেশ থেকে যারা আসবে সবারই উচিত। নিজে যেন ভুল করে অন্যের জন্য বিপদ না হয় এটাই ভাবতে হবে। করোনা নিয়ে কোন ঝুঁকি নেয়া যাবে না।’
সার্জারির পর এখন কী অবস্থান সাদমান ও মৃত্যুঞ্জয়ের? কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন মাঠবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওরা দু’জন (সাদমান-মৃত্যুঞ্জয়) ভালো আছে। মাঠে ফেরার বিষয়টা এখন বলা কঠিন। তবে তিন মাস লাগবেই। বেশিও লাগতে পারে।’
এসএএস/এমএস