ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, তাহলে হয়তো বাঁচতে পারব : মিরাজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে বাড়ছে রোগী। আজ (বুধবার) প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে সবাইকে ঘিরে ধরেছে আতঙ্ক।

চীন, ইতালির মতো উন্নত দেশও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছে না। সচেতনতা তো কেবল প্রতিরোধের জন্য, করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচতে সৃষ্টিকর্তার দয়ার দিকেই তাকিয়ে পুরো বিশ্ব।

করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনও স্থবির হয়ে পড়েছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটাররা এখন খেলার বাইরে। তবে ফিটনেস ধরে রাখতে অনুশীলন বন্ধ করেননি তারা।

শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে আজ অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাইরাস আর আতঙ্ক, খেলার চেয়ে বেশি কথা হয়েছে এসব নিয়েই।

জাতীয় দলের তারকা এই অলরাউন্ডার এমন দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে পাকপবিত্র থাকার এবং (মুসলমানদের) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার আহ্বান জানান। তার মতে, এই মুহূর্তে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্যলাভের চেষ্টাই বাঁচাতে পারে মানুষকে।

মিরাজ বলেন, ‘কোনো মানুষ কোনো ডাক্তার, কেউ বাঁচাতে পারে না। কারণ সবকিছু আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন, তিনিই রক্ষা করবেন। এজন্য আমি বলতে চাই সবাই বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন এরকম দুর্যোগ থেকে আমরা রক্ষা পাই।’

বয়স ২২ বছর। নিজের জীবনে এমন দুর্যোগ কখনও দেখেননি উল্লেখ করে মিরাজ বলেন, ‘আমার লাইফে এরকম কখনো দেখিনি যে, পৃথিবী বন্ধ হয়ে গেছে। পৃথিবীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পৃথিবীর সব মানুষ আতঙ্কের ভেতরে আছে, কি অস্বস্তিকর! মানুষের জীবন মৃত্যুর ব্যাপার, এজন্য আমি প্রত্যেকটা মানুষের, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষকে আমি এই পরামর্শ দিতে চাই- বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, নিজের জন্য দোয়া করুন, পরিবারের জন্য দোয়া করুন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া করুন, বিশ্বের মানুষের জন্য দোয়া করুন।’

মিরাজ যোগ করেন, ‘সবাইকে এই মেসেজটা দিতে চাই- সবাই যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, নামায পড়লে আল্লাহ খুশি হন এবং পবিত্র থাকলে হাত ধোয়াসহ সব কাজ ঠিক মত হয়ে যায়। সবাই পবিত্র থাকি, নামাজ পড়ি। তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা হয়তো বাঁচতে পারব।’

এমএমআর/এমকেএইচ