ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ‘হ্যান্ডশেক-হাইফাইভ’ নিষিদ্ধ!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বেই বৃহৎ জনসমাবেশ-জনসমাগম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেটের নানা বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ক্রিকেটে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে এসে কোন ম্যাচ না খেলেই দেশে ফেরত চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের সাড়া জাগানো আসর আইপিএল নিয়েও রাজ্যের অনিশ্চয়তা।

এরই মধ্যে কাল রোববার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা তথা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও একমাত্র ওয়ানডে আসর ‘বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ২০১৯-২০২০’।

সবার জানা, ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সেই রমরমা দিন আর নেই। ফুটবলের মত গ্যালারি উপচে পড়া দর্শক সমাগম না হলেও ৭০ দশকের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে ৮০-৯০ দশকে এই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট ছিল দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর।

মোহামেডান-আবাহনীর ঐতিহ্যবাহী লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি ঘটেছে বহুবার। এছাড়া মোহামেডান, আবাহনী, বিমান, ব্রাদার্স, কলাবাগান, ভিক্টোরিয়ার মতো বড় দলের ম্যাচেও গড়পড়তা ৭ - ৮ হাজারের বেশি ক্রিকেট অনুরাগীর সমাগম ঘটতো। কালের আবর্তে সেই দর্শক উপস্থিতি এখন গেছে কমে।

মোহামেডান আর আবানী ম্যাচও এখন আর দর্শক টানে না। সাকুল্যে এক দুই হাজার দর্শক মাঠে যান। কখনো তারও কম। অন্য দলের খেলায় মোটে শ'খানেক ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ দর্শক খেলা দেখতে আসেন।

ধরেই নেয়া হয়েছে ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন শেরে বাংলায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অল্প কিছু দর্শকই হয়তো থাকবেন। তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনাও খুব কম। তারপরও বিসিবি সতর্ক, সাবধানী।

আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়ে দিয়েছেন, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ আয়োজন করলেও বিসিবি ও সিসিডিএম করোনা ভাইরাস নিয়ে ভীষণ সতর্ক এবং ভাইরাস যাতে সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী সেই সব সতর্কতামূলক পরামর্শগুলো প্রতিটি ক্লাব এবং সকল ক্রিকেটারকে জানিয়ে দেয়ার কথাও বলেছেন। এর মধ্যে ক্রিকেটারদের খেলা চলাকালীন হ্যান্ডশেক, হাই ফাইভ-এর ব্যাপারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও সেগুলোকে নিরুৎসাহিত করার কথাও তিনি জোর দিয়ে বলেছেন।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমাদের কিছু পরামর্শ আছে বিসিবি ও সিসিডিএম টিমগুলোর প্রতি। করোনা ভাইরাসকে বিবেচনায় রেখে সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ও মেডিক্যাল অ্যাডভাইজরি দিচ্ছে, সেগুলো আমরা অনুসরণ করব। আমরা এরই মধ্যে ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আজ একটি টিম মিটিং আছে। বিসিবি থেকে এটা নিশ্চিত করা হবে যদি কোনো খেলোয়াড় বা অফিসিয়াল সামান্যতম অসুস্থ বা লক্ষণ দেখা যায়, তাৎক্ষণিক যেন বিসিবির মেডিক্যাল টিম এবং ক্লাবকে জানায়। ক্লাব যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

বিসিবি সিইও যোগ করেন, ‌‘এর বাইরে হ্যান্ডশেকের যে রীতি আছে, সেটা কিভাবে মিনিমাইজ করা যায়, সে কথাও বলা হয়েছে। আজ শনিবারের সভায় তা আবারো বলা হবে। আমরা যেহেতু অভ্যস্ত হয়ে আছি, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এখন যেটা প্র্যাকটিস হচ্ছে সবদিক বিবেচনা করে আমরা নিরুৎসাহিত করব হ্যান্ডশেক। এ রকম বিষয়গুলো দলগুলোকে দিয়ে দেন যেন তারা মেনে চলে।’

নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বোঝানোর চেষ্টা করেন, জাতীয় দলের বা আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন যত বেশী দর্শক মাঠে আসেন, ক্লাব ক্রিকেটে অত দর্শক হয় না। তাই তাদের চিন্তা তুলনামূলক কম। এ কারণেই মুখে এমন সংলাপ, ‘দর্শকদের ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে সেটা আমাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিবেচনার বিষয় ছিল। এ ম্যাচে হয়তো ওত বাধ্যবোধকতার প্রয়োজন হবে না। তারপরও আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখব।’

এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ