ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তামিম ভাইয়ের সাথে ওপেন করব : সাইফ
বয়স মাত্র ২১। প্রতিভার জোরেই টেস্টের মত কঠিন ফরমেটে জায়গা করে নিয়েছেন সাইফ হাসান। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টটাই খেলেছেন পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে।
স্বভাবতই সাইফের শুরুটা স্বপ্নময় হয়নি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আটকে যান ১৬ রানেই। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে সাইফকে। নাসিম শাহ'র আচমকা নিচু হয়ে যাওয়া এক ডেলিভারিতে বোল্ড না হলে ইনিংসটা বড় হতে পারতো।
ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে সাইফ বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংস ভালোই লাগছিল (ব্যাটিং করতে)। দুর্ভাগ্য, বলটা নিচু হয়েছিল। আরেকটু ফোকাস থাকলে হয়তো বলটা ম্যানেজ করতে পারতাম কোনোভাবে। আরও ফোকাস লেভেল বাড়াতে হবে, মনোযোগ বাড়াতে হবে। প্রথম ইনিংসে নাভার্স ছিলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো সমস্যা হয়নি। সবাই খুব হেল্পফুল ছিল।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ৪২.৮০। ওপেনার হিসেবে বেশ ভালোই বলা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা আরও কঠিন, সেই উপলব্ধি কি হলো সাইফের?
প্রথম টেস্টের পর কেমন মনে হচ্ছে? সাইফের জবাব, ‘এতটা সহজ হবে না। কিন্তু এই লেভেলে আসার জন্যই সব কিছু করা। চেষ্টা করবো সামনের ম্যাচে যদি সুযোগ আসে ভালো খেলার।’
সাইফ যোগ করেন, ‘সহজ হবে না বলতে আমরা যেভাবে খেলে আসছি ঘরোয়া ক্রিকেটে সেদিক থেকে চিন্তা করলে অত সহজ না। আমাদের মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে। প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে খুব জাতীয় দলের। সুযোগ পেলে রান বড় করতে হবে।’
ক্যারিয়ারের শুরুটাই হলো তামিম ইকবালের মতো বড়মাপের ওপেনারের সঙ্গী হিসেবে। সেই অভিজ্ঞতা কেমন? সাইফ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ওপেন করব। তো সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন যত পারি লম্বা করতে হবে। যদি ভালো খেলি, সে সুযোগ বেশি থাকবে।’
কিন্তু তামিমের সঙ্গী হওয়ার ঝুঁকিও আছে। এখন পর্যন্ত টেস্ট দলে তার যোগ্য সঙ্গী পাওয়া যায়নি। কখনও ইমরুল কায়েস, কখনও সৌম্য সরকার, কখনওবা লিটন দাস; কেউই জায়গা ধরে রাখতে পারেননি।
এই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে সাইফ বলেন, ‘যেখানেই খেলেন না কেন যদি ২-৩ ম্যাচ খারাপ করেন, আপনাকে কিন্তু ড্রপ দেওয়া হয়। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি পারফরম্যান্স ম্যাটার করে। ভালো খেললে জায়গাটা হবে, খারাপ খেললে বেরিয়ে যেতে হবে।’
এমএমআর/এমকেএইচ