তামিমের ৩৩৪, নাইমের ৬ উইকেট : ধরাশায়ী সৌম্য-শান্তরা
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের শেষদিন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকদের পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ইনিংস পরাজয় এড়াতে ব্যাট হাতে অসাধারণ কিছুই করতে হতো সৌম্য সরকার, নাজমুল হাসান শান্তদের মধ্যাঞ্চলকে। কিন্তু তা করতে দেননি তরুণ অফস্পিনার নাইম হাসান।
প্রথমে তামিম ইকবালের রেকর্ডগড়া ট্রিপল সেঞ্চুরি আর পরে দ্বিতীয় ইনিংসে নাইম হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে ইনিংস ও ৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে সৌম্য-শান্তদের মধ্যাঞ্চল। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল।
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল, জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে তামিম-মুমিনুলদের পূর্বাঞ্চল। ইনিংস পরাজয় এড়াতে শেষদিনে মধ্যাঞ্চলকে করতে হতো অন্তত ২২৭ রান, হাতে ছিলো মাত্র ৭টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চলের ৩৪২ রানের লিডের বিপরীতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করেছিল মধ্যাঞ্চল।
আজ (সোমবার) ম্যাচের শেষদিন লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন, তাইবুর পারভেজরা। আগেরদিন শেষ বিকেলে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এদের সবাইকেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের অফস্পিনার নাইম হাসান।
এ তিনজন ছাড়াও ওপেনার সাইফ হাসান, সোহরাওয়ার্দি শুভ এবং মোস্তাফিজুর রহমানের উইকেটও নিয়েছেন নাইম। সবমিলিয়ে ২৯ ওভারে ৮৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন এ ডানহাতি অফস্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম পাঁচ উইকেট শিকার।
নাইমের স্পিনে ধরাশায়ী হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৩ রানে অলআউট হয়েছে মধ্যাঞ্চল। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া তাইজুল, দ্বিতীয় ইনিংসেও শিকার করেছেন ২টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে নাইমের শিকার ছিলো ২টি উইকেট।
দলের পরাজয় এড়ানোর জন্য প্রাণপন লড়াই করা মিঠুন করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৩ রান। এছাড়া তাইবুর পারভেজ ৬২ ও নাজমুল শান্ত করেছেন ৫৪ রান। তিনজনকেই আউট করেছেন নাইম।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২১৩ রানে অলআউট হয়েছিল মধ্যাঞ্চল। সাইফ হাসান করেছিলেন ৫৮ রান। জবাবে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং মুমিনুলের ২১তম সেঞ্চুরিতে ৫৫৫ রানের পাহাড়ে চড়ে পূর্বাঞ্চল। যা তাদের এনে দিয়েছে ইনিংস ব্যবধানে জয়।
এসএএস/এমএস