ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এই লোকটি ধারাভাষ্য দিলেই সুপার ওভারে হারে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

হ্যামিল্টনে ভারতের কাছে সুপার ওভারে হেরে যেতে হলো নিউজিল্যান্ডকে। এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এ নিয়ে তিনবার সুপার ওভারে গিয়ে হারতে হলো কিউইদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজিক ঘটনা হলো ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনাল।

তবে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটপ্রেমীরা সুপার ওভারে হারের জন্য তাদের ক্রিকেটারদের চেয়ে আরেকজন ব্যক্তিকে দোষারোপ করতে পারে বেশি। লোকটির নাম ইয়ান স্মিথ। নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার।

এই ধারাভাষ্যকার মাইক্রোফোন হাতে সুপার ওভারের সময় কথা বলতে আসলেই পারজয়ের স্বাদ নিতে হয় কিউইদের। একবার, দু’বার নয়, শেষ সাত মাসে নিউজিল্যান্ড তিনবার সুপার ওভারে হার মেনেছে। প্রতিবারই ধারাভাষ্য দিয়েছেন সাবেক কিউই ক্রিকেটার ইয়ান স্মিথ।

সুপার ওভারের টেনশনের মুহূর্তে সাবেক কিউয়ি উইকেটরক্ষক বলে বসেন, ‘ওদের জন্য আমাকেও জীবনের কয়েকটা বছর হারাতে হয়েছে।’ মজা করেই কথাগুলো বলেছিলেন স্মিথ; কিন্তু এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই অনেক কিউই সমর্থকের প্রশ্ন, ‘স্মিথ কি তাহলে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের জন্য এক দুর্ভাগ্যের নাম?

নিশ্চিত, ইয়ান স্মিথও হয়তো ভবিষ্যতে আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের সময় কিংবা এ ধরনের সুপার ওভার পরিস্থিতি তৈরি হলে আর ধারাভাষ্য দিতে আসবেন না। এসেই বা কি হবে, তিনি মাইক্রোফোন নিলেই তো হেরে বসবে নিউজিল্যান্ড!

বুধবার সুপার ওভারের টেনশন ছুঁয়ে গিয়েছিল ভারতের বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকেও। বিরাট কোহলি তো ম্যাচ শেষে বলেই ফেলেছিলেন, ‘আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।’

সুপার ওভারে সেই ম্যাচেই ধারাভাষ্য দিতে বসে মাঠের উত্তেজনা অনুভব করতে শুরু করেন সাবেক কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইয়ান স্মিথও। তিনি ধারাভাষ্য দিতে বসলে সুপার ওভারে কিউইদের কপাল পোড়ে। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে স্মিথ বলেন, ‘এই সুপার ওভার যদি টাই হয়, তা হলে আমি অবসর নেব। ওদের জন্য জীবনের কয়েকটা বছর আমাকেও হারাতে হয়েছে।’

সাত মাসের ব্যবধানে সুপার ওভারে তিনটি হারের কথাই উল্লেখ করেছেন স্মিথ। সে সঙ্গে এ রকম টেনশনের মুহূর্ত যে তিনি উপভোগও করেন, তা জানাতে ভোলেননি স্মিথ। তার শঙ্কা অবশ্য সত্যি হয়নি। হ্যামিল্টনের সুপার ওভার টাই হয়নি। রোহিত শর্মা টানা দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। ফলে স্মিথকেও নিজের কথা রাখতে অবসর নিতে হয়নি।

আইএইচএস/এমকেএইচ